নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে এই পরিসংখ্যান বড় ধাক্কা মোদী সরকারের কাছে
নোট বাতিলের আগে যত মূল্যের নোট সার্কুলেশনে ছিল তার চেয়ে এখন মাত্র ৯ শতাংশ কম রয়েছে বাজারে। নগদহীন অর্থনীতির যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদী সরকার দেখেছিল তার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক রয়েছে।
নোট বাতিলের একবছর পূর্তির পরে বাজারে নগদের ঘোরাফেরা কতটা রয়েছে তা নিয়ে সামনে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নোট বাতিলের আগে যত মূল্যের নোট সার্কুলেশনে ছিল তার চেয়ে এখন মাত্র ৯ শতাংশ কম রয়েছে বাজারে। নগদহীন অর্থনীতির যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদী সরকার দেখেছিল তার সঙ্গে বাস্তবের ফারাক রয়েছে।
[আরও পড়ুন:পেরিয়ে গিয়েছে ১ বছর, নোট বাতিল নিয়ে কী বলছে আমজনতা, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
তথ্য বলছে, নোট বাতিলের আগে যত নগদ বাজারে ছিল তার মাত্র ৯ শতাংশ সার্কুলেশন কমেছে। আরবিআইয়ের হিসাব বলছে, নোট বাতিলের সময় সারা দেশে মোট নগদ ঘুরছিল ১৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। একবছর পরে এখন বাজারে রয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা নগদ। অর্থাৎ কমেছে মাত্র ৯ শতাংশ নগদ।
নভেম্বর ২০১৬ সালে ডিজিটাল লেনদেন ছিল ৯৪ লক্ষ কোটি টাকা। তা ৩৩ শতাংশ বেড়ে সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে হয়েছে ১২৪.৭ লক্ষ কোটি টাকা। তবে অক্টোবর ২০১৭ সালে তা কমে আসে ৯৯.৩ লক্ষ কোটি টাকায়।
গতবছরে মোট ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকার ৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিল করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে এসেছে। যা মোট নোটের প্রায় ৯৯ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে আরবিআই।
নকুন নোট ছাপতে খরচ পড়েছিল ৭৯৬৫ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ সালে এই খাতে আরবিআইয়ের খরচ ছিল ৩৪২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ খরচ বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ২০০৪ সালে বড় নোট মুদ্রাব্যবস্থার ৫৪ শতাংশ জুড়ে ছিল। ২০০৯ সালে তা কমে আসে ২৮ শতাংশে। পরে তা নোট বাতিলের সময় কমে দাঁড়িয়েছিল ১৩ শতাংশের কিছু বেশিতে।
[আরও পড়ুন:মাত্র ৯ মিনিটেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল নোট বাতিলের ভবিষ্যৎ]