LIC-র আইপিও বাজারে আসতে পারে ৪ মে! কবে বন্ধ, দামই বা হতে পারে কত, একনজরে
এলআইসির (LIC) আইপিও (IPO) বাজারে আসতে পারে ৪ মে। যা ৯ মে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে ২৭ এপ্রিল চূড়ান্ত তারিখ জানা যেতে পারে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে এলআইসির প্রথম পাবলিক অফারের
এলআইসির (LIC) আইপিও (IPO) বাজারে আসতে পারে ৪ মে। যা ৯ মে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে ২৭ এপ্রিল চূড়ান্ত তারিখ জানা যেতে পারে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে এলআইসির প্রথম পাবলিক অফারের বাজারে আসা-সহ অন্য বিবরণ আগামী সপ্তাহে জানা যাবে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছেন অসময়ে সরকার এলআইসির শেয়ার বিক্রি করতে চলেছে।
বাজারে আসবে ৩.৫ শতাংশ আইপিও
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এলআইসির বোর্ডের তরফে ৫ শতাংশ নয়, ৩.৫ শতাংশ আইপিও বাজারে আসার ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্র সংস্থা সিকিউরিটিস এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন সাপেক্ষে ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে আসতে চলেছে। যার মাধ্যমে সরকার ২১০০০ কোটি টাকা ঘরে তুলতে পারবে। এই মূহূর্তে এলআইসির মূল্য ছয় লক্ষ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। ৬৬ বছরের এলআইসির আগেকার মূল্য ছিল ১৭ ট্রিলিয়ান। যার তুলনায় বর্তমান মূল্যায়ন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
দাম হতে পারে ৯৪৯ টাকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এলআইসির শেয়ারের দাম হতে পারে ৯৪৯ টাকা। বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ দিনের লকইন প্রিরিয়ড থাকবে। পেনশন ফান্ড, প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড এবং দেশের মিউচুয়াল ফান্ডগুলির তরফে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় ৬০ শতাংশ শেয়ার বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হতে পারে।
সাম্প্রতিক কালে সব থেকে বড় পাবলিক ইস্যু
এলআইসির পাবলিক ইস্যু সাম্প্রতিক সময়ে সব থেকে বড় হতে যাচ্ছে। ২০২১ সালে পেটিএম-এর আইপিও ছিল ১৮৩০০ কোটি টাকার। ২০১০-এ কোল ইন্ডিয়ার পাবলিক ইস্যু ছিল ১৫,৫০০ কোটি টাকার। অন্যদিকে ২০০৮ সালে রিলায়েন্স পাওয়ারের পাবলিক ইস্যু ছিল ১১,৭০০ কোটি টাকার।
মোদী সরকারের টার্গেট ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা তোলার
এলআইসির
কিছু
শেয়ার
বিক্রি
করে
দেওয়া
কথা
হয়েছিল
মার্চেই।
কিন্তু
ফেব্রুয়ারির
শেষে
রাশিয়া
ইউক্রেনকে
আক্রমণ
করায়
পুরো
বিষয়টিও
বদলে
যায়।
রাশিয়া-ইউক্রেনের
যুদ্ধ
আঘাত
এসে
পড়ে
ভারতের
শেয়ার
বাজারেও।
মোদী
সরকার
টার্গেট
করেছিল
এলআইসির
৫
শতাংশ
অর্থাৎ
৩১.৬
কোটি
শেয়ার
বিক্রি
করে
৬০
হাজার
কোটি
টাকা
ঘরে
তোলা
হবে।
২০২১-২২
আর্থিক
বছরে
সরকার
বিলগ্নিকরণের
মাধ্যমে
৭৮
হাজার
কোটি
টাকা
তোলার
লক্ষ্য
রাখলেও
তা
পূরণ
করতে
পারেনি।
সরকারের
এই
মূহূর্তে
পদক্ষেপ
রাজকোষে
ধাক্কা
দেবে
বলেই
মনে
করছেন
অর্থনীতিবিদরা।
কেননা
মার্চের
আগে
রাজকোষের
যে
ঘাটতি
পূরণের
কথা
সরকার
চিন্তা
করেছিল,
রাশিয়া-ইউক্রেনের
যুদ্ধের
পরিস্থিতির
কারণে
তা
পূরণ
করতে
পারবে
না।