ঊর্ধ্বমুখী পারদে ব্যাপক চাহিদা, রেকর্ড ব্যবসা এসি কোম্পানিগুলির
তাপপ্রবাহের (heatwave) কবলে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপমাত্রা (temperature) ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কোনও কোনও জায়গায় তো তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে ৪২-৪৩ ডিগ্রি। সেই পরিস্থিতিতে এসির
তাপপ্রবাহের (heatwave) কবলে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপমাত্রা (temperature) ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কোনও কোনও জায়গায় তো তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে ৪২-৪৩ ডিগ্রি। সেই পরিস্থিতিতে এসির (air conditioner) রেকর্ড চাহিদা তৈরি হয়েছে। শুধু মার্চেই প্রায় ১৫ লক্ষ ইউনিট এসি বিক্রি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসেবে অনুমান।
কোভিড কাটিয়ে রেকর্ড বিক্রির আশা
ভোল্টাস, এলজি, প্যানাসনিকের মতো সংস্থাগুলির তরফে বলা হচ্ছে গত দুই বছর করোনা এবং সেই সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসা মার খেয়েছিল। কিন্তু এবার কার্যত এসি বিক্রিতে ঢেউ এসেছে। এসির ক্ষেত্রে এবছর বাম্পার বিক্রি হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন নির্মাতা সংস্থা।
সরবরাহের সীমাবদ্ধতা নিয়ে উদ্বেগ
এসি নির্মাতা সংস্থাগুলির তরফে বলা হয়েছে এবারের এসির বাজার প্রাক মহামারীর বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ৭.৫ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রির রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। এবছরে এসি বিক্রি ৯.২ থেকে ৯.৫ মিলিয়ন ইউনিট হতে পারে বলে মনে করছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে চাহিদার সঙ্গে আদৌ সরবরাহ করা যাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আরও বেশি এসি ব্যবহারের আশা
দেশে এসির ব্যবহার করছেন ৬ শতাংশের মতো মানুষ। তবে নির্মাতা সংস্থাগুলি মনে করছে ছোট শহরগুলিতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বৃদ্ধি এবং সেখানে যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়, তাহলে এসির তাবিগা আরও বাড়বে। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত কারণে এসির চাহিদা বেড়েছে। দেশের অন্যতম বড় এসি নির্মাতা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এবছর এসির চাহিদা রয়েছে। এছাড়াো মার্চে তীব্র গরমের কারণে, সেই সময় থেকেই চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই চাহিদা এই মাসেও বজায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেই সংস্থার তরফে। অন্য একটি সংস্থার তরফে বলা হয়েছে দিল্লি ছাড়াও উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে এবার এসির চাহিদা বেশি। অপর একটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু মার্চেরই তারা ২.৫ লক্ষ ইউনিট এসি বিক্রি করেছে। সামনের মাসগুলিতেও এর চাহিদা থাকবে বলেই মনে করছে এই সংস্থা। তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে এসির চাহিদা আরও বেড়েছে বলেই মনে করছে কোনও কোনও সংস্থার কর্তারা।
সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা
একদিকে এসির চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিগুলি যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে উঠতে পারছে না। চিনে করোনা লকডাউন এবং ইনপুট কস্ট বৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন এসি নির্মাতা সংস্থা। তবে সংস্থাগুলি মনে করছে সমস্যা মিটে যাবে।