মোদী জমানায় আরও এক আর্থিক কেলেঙ্কারি, যোগীর রাজ্যে উধাও ৮০০ কোটির বেশি
নীরব মোদীর ১১, ৫০০ কোটির কেলেঙ্কারির পর ফের অপর এক কেলেঙ্কারির হদিশ। কলম প্রস্তুতকারী সংস্থা রোটোম্যাকের মালিক বিক্রম কোঠারি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়ে উধাও।
নীরব মোদীর ১১, ৫০০ কোটির কেলেঙ্কারির পর ফের অপর এক কেলেঙ্কারির হদিশ। নামী কলম প্রস্তুতকারী সংস্থা রোটোম্যাকের মালিক বিক্রম কোঠারি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়ে বেপাত্তা বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কোঠারির সম্পত্তি বিক্রি করে অধিকাংশ ঋণ শোধ না হওয়া টাকা উদ্ধার করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি।
রোটোম্যাকের মালিক হিসেবে পরিচিতি ছাড়াও অন্য পরিচিতিও আছে বিক্রম কোঠারির। তিনি পান পরাগের প্রতিষ্ঠাতা এমএম কোঠারির ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর স্টেশনারি দ্রব্যের দিকে ব্যবসা বাড়ান বিক্রম কোঠারি। এরপর কানপুরে রোটোম্যাকের কারখানা তৈরি করেন তিনি। বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিক্রম কোঠারিকে পুরস্কৃতও করা হয়।
এহেন বিক্রম কোঠারিকেই পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিয়েছিল। সময় পার হয়ে গেলেও বিক্রম কোঠারি সেই ঋণের টাকা ফেরত দেননি বলেই অভিযোগ। কানপুরে মালরোডের সিটি সেন্টারে রোটোম্যাকের দফতর যেমন বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ, ঠিক তেমনই কোনও হদিশ নেই বিক্রম কোঠারির।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, সেই ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিক্রম কোঠারি। অন্যদিকে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে শিল্পপতি প্রায় ৩৫২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। দুই ব্যাঙ্কের তরফেই জানা গিয়েছে, বিক্রম কোঠারি এবং তার সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সম্পত্তি বেঁচে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দুটি ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর।
বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর মতো বিক্রম কোঠারি কী ভাবে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেলেন এবং কী ভাবে তা না দিয়ে পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সব নিয়মকানুন কি আদৌ মানা হয়েছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।