মাত্র ৯ মিনিটেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল নোট বাতিলের ভবিষ্যৎ
জানেন কি মাত্র নয় মিনিটের প্রেজেন্টেশনেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল নোট বাতিলের ভবিষ্যৎ। অনিল বোকিলের কথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এতটাই প্রভাবিত হন যে নোট বাতিলে সম্মতি দিয়ে দেন।
গতবছরের শেষে নভেম্বরের শুরুতেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। জাতির উদ্দেশে ঘোষণা নোট বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাতিল করে দেওয়া হয় ৫০০ ও ১ হাজারের নোট। তবে জানেন কি মাত্র নয় মিনিটের প্রেজেন্টেশনেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল নোট বাতিলের ভবিষ্যৎ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এতটাই প্রভাবিত হন যে নোট বাতিলে সম্মতি দিয়ে দেন।
যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রভাবিত করেন তিনি পুনে নিবাসী অর্থনীতির চিন্তক অনিল বোকিল। তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। কালো টাকা ও জাল নোটের কারবার থেকে দেশকে উদ্ধার করতেই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন:নোটবন্দি সিদ্ধান্ত কার, কবে ও কেন নেওয়া হয়েছিল, কী বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বয়ান]
নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবা শুরু হয়েছিল ঘটনার ছয় মাস আগেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও আরবিআই গভর্নর শুধু এই সিদ্ধান্ত জানতেন। ঘটনার দুই মাস আগে চূড়ান্ত স্তরে কাজ শুরু হয় নোট বাতিলের।
তার আগে অনিল বোকিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, ৫০০, ১ হাজার এমনকী ১০০ টাকার নোট বাতিল করে দিতে। সব ধরনের লেনদেন করা হবে ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের জন্য সিঙ্গল ব্যাঙ্কিং সিস্টেম চালুর কথা বলেন।
[আরও পড়ুন:ফিরে দেখা, নোট বাতিলের পর থেকে ঠিক কী কী হল একবছরে ]
অনিল বোকিলের আরও পরামর্শ ছিল। তিনি নিজের প্রেজেন্টেশনে জানান, দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ দিনে ২০ টাকার নিচে খরচ করেন। তাদের বড় নোট প্রয়োজন নেই। সারা দেশে দৈনিক ২.৭ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সবমিলিয়ে বছরে ৮০০ লক্ষ কোটি টাকার উপরে। তবে তার মাত্র ২০ শতাংশ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হয়। বাকী টাকার কোনও খোঁজ থাকে না। এই প্রেজেন্টেশন শুনেই কেন্দ্র নোট বাতিলে রাজি হয়ে যায়।