ফ্লিপকার্ট অধিগ্রহনের দৌড়ে এল এই সংস্থা
শুক্রবারের আগে পর্যন্ত জানা গিয়েছিল ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের বড় অংশের শেয়ার কিনতে চলেছে মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট। বিশ্বের অন্যতম বড় এই বানিজ্য়িক চুক্তি ছিল প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে।
শুক্রবারের আগে পর্যন্ত জানা গিয়েছিল ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের বড় অংশের শেয়ার কিনতে চলেছে মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট। বিশ্বের অন্যতম বড় এই বানিজ্য়িক চুক্তি ছিল প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু হঠাত করেই ওয়ালমার্টের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ময়দানে নেমেছে আরেক বৃহৎ ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন। ফ্লিপকার্টের শেয়ার কেনায় অ্যামাজন আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল।
[আরও পড়ুন:অসিযুদ্ধে মেতে মোদী ও রাহুল, জেনে নিন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার ঘিরে কী চলছে কর্ণাটকে]
কিন্তু এতদিন অবধি কোনও সরকারি প্রস্তাব আসেনি সংস্থাটির তরফে। কিন্তু এক সূত্রের খবর গত সোমবারই ফ্লিপকার্টের ৬০ শতাংশ শেয়ার কেনার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে অ্যামাজন।
ভারতীয় কোম্পানিটির জন্য ওয়ালমার্ট যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমাজন-এর প্রস্তাব তার কাছাকাছিই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা দুটি সংস্থাকে সম্পূর্ণভাবে মিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে,অ্যামাজন ফ্লিপকার্টের মালিকপক্ষের সঙ্গে নন-কমপিট চুক্তি করতে চায়। অর্থাৎ অ্যামাজনকে শেয়ার বেচার পর ফ্লিপকার্ট আর ই-কমার্স ব্যবসায় থাকতে পারবে না।
যতদূর জানা যাচ্ছে অ্যামাজন ব্রেকআপ ফি হিসেবে ২ বিলিয়ন ডলার দাবি করেছে। অর্থাৎ চুক্তি হওয়ার পর যদি ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে আসতে চায়, সেক্ষেত্রে অ্যামাজন সংস্থাকে তাদের ২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সাধারণত মোট আর্থিক চুক্তির ২ থেকে ৩ শতাংশ থাকে ব্রেক আপ ফি হিসেবে।
[আরও পড়ুন:এঁদের ভোট পেলেই কর্ণাটক বিধানসভায় কেল্লাফতে! দেখুন কি বলছেন নরেন্দ্র মোদী]
এদিকে ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টের ৮০ শতাংশ শেয়ার কিনতে আগ্রহী। সেই মতো ফঅলিপকার্ট অধিগ্রহন করার জন্য তারা এগোচ্ছিল। এখন অ্যামাজনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষকে এখন খতিয়ে দেখতে হবে অ্যামাজনের প্রস্তাব। তবে এনিয়ে মুখ খোলেননি অ্যামাজনের কেউই। কোম্পানিটি বলেছে গুজব এবং অনুমান নিয়ে তারা মন্তব্য করবে না।
তবে তারা গুজব ও অনুমান বললেও তা নিয়েই জল্পনা চলছে দেশের বানিজ্য মহলে। আমাজনের প্রস্তাবে আর কী কী থাকতে পারে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বৃহত শিল্পপতি থেকে সাধারণ মানুষ সবার।
ওয়ালমার্টের প্রস্তাবের অধিকাংশটাই অবশ্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তারা ফ্লিপকার্টের বর্তমান কাঠামোটিই বজায় রাখতে চায়। ফ্লিপকার্টের ১০ সদস্যের বোর্ডে তিন থেকে চারটি আসন তারা দাবি করেছে। পেতে ওয়ালমার্ট আশা করছে। সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি সহ ফ্লিপকার্টের বর্তমান ম্যানেজমেন্ট টিমকেই তারা ধরে রাখতে চায়। ওয়ালমার্ট এবং ফ্লিপকার্টের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে পারে বলে খবর ছিল।
এমনকি
ভারতীয়
ই-কমার্স
সংস্থাটির
প্রধান
বিনিয়োগকারীরা
ও
প্রতিষ্ঠাতারাও
ওয়ালমার্টের
সঙ্গে
চুক্তির
পক্ষেই
ছিলেন।
একথাও
বলে
হয়েছিল
ফ্লিপকার্টের
প্রতিষ্ঠাতা
শচীন
বনশল
গত
সপ্তাহে
আমেরিকা
গিয়েছিলেন
ওয়ালমার্টের
সঙ্গে
চুক্তির
চূড়ান্ত
পর্যায়ের
কাজ
সারার
জন্যই।
চুক্তিটি
পাকা
করতে
শীঘ্রই
ওয়ালমার্টের
গ্লোবাল
টিম
ভারতে
আসবে
বলেও
খবর
ছিল।
কিন্তু
এখন
এই
নতুন
খবরে
পরিস্থিতি
অনেকটাই
পাল্টে
গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: হাওয়াইতে অগ্নুৎপাত! এলাকা খালি করতে বলা হল বাসিন্দাদের]