পেশাদার ক্ষেত্রে অনুপাত বৃদ্ধি হলেও আর্থিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে পিছিয়ে মহিলারা! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
দেশে পেশাদার ক্ষেত্রে মহিলাদের অনুপাত লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি হলেও, তাঁরা স্বাধীন আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থা TATA AIA এই সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষায় উঠে
দেশে পেশাদার ক্ষেত্রে মহিলাদের অনুপাত লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি হলেও, তাঁরা স্বাধীন আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থা TATA AIA এই সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশের ৫৯ শতাংস মহিলা তাঁদের আর্থিক বিষয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেন না। অন্যদিকে সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৪৪ শতাংশ মহিলা তাদের নিজেদের আর্থিক সংক্রান্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চান।
বিয়ে যখন বাধা তৈরি করে
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের ৮৯ শতাংশ বিবাহিত মহিলা আর্থিক পরিকল্পনার জন্য তাঁদের স্বামীদের ওপরে নির্ভর করেন। বিয়ের আগে তাগের আর্থিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন বাবারা। আর বিয়ের পরে নেন স্বামীরা। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২০-২২ হওয়ার কারণে তাঁদের আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নেই। ফলে মহিলাদের আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতায় বিয়েই অন্যতম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আর্থিক পরিকল্পনায় মহিলারা
সমীক্ষায়
দেখা
গিয়েছে,
মহিলারা
আর্থিক
পরিকল্পনায়
যুক্ত
থাকলেও
৩৯
শতাংশের
ক্ষেত্রে
তা
মাসিক
পরিকল্পনার
মধ্যে
সীমাবদ্ধ
হয়ে
রয়েছে।
সমীক্ষার
আরও
প্রকাশ
হয়েছে,
৪২
শতাংশ
মহিলা
যাঁরা
আর্থিক
পরিকল্পনা
ভাল
বোঝেন,
তাঁদের
মধ্যে
মাত্র
১২
শতাংশ
গৃহিনী।
এক্ষেত্রে
সমীক্ষায়
উঠে
এসেছে,
বেশিরভাগ
মহিলার
ক্ষেত্রেই
আর্থিকভাবে
স্বাধীন
হওয়ার
অর্থ
এই
নয়
যে,
তাঁদের
অর্থ
সংক্রান্ত
ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত
নেওয়ার
ব্যাপারে
স্বাধীনতা
রয়েছে।
কর্মরত
মহিলাদের
ক্ষেত্রে
৫৯
শতাংশ
স্বাধীনভাবে
তাদের
আর্থিক
বিষয়ে
সিদ্ধান্ত
নেন
না।
অন্যদিকে
এই
অনুপাত
টিয়ার
থ্রি
মার্কেটে
আরও
বেশি।
সেখানে
৬৫
শতাংশ
মহিলা
স্বাধীনভাবে
তাদের
আর্থিক
বিষয়ে
সিদ্ধান্ত
নেন
না।
আর্থিক নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার
মহিলাদের পছন্দের কথা উল্লেখ করে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৪৪ শতাংশ মহিলা নিজেদের আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে চান। সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে মহিলারা তাদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তাকে নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। ৬২ শতাংশ মহিলা তাদের পরিবারের সুবিধার জন্য ব্যাঙ্কের এফডিতে বিনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করেন।
পছন্দ জীবন বিমা
কোভিড ১৯ পরবর্তী সময়ে ৭২ শতাংশ মহিলা আর্থিক পরিকল্পনায় জীবন বিমাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। জীবন বিমার পরিকল্পনাগুলির মধ্যে সঞ্চয় পরিকল্পনা সবচেয়ে পছন্দের বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। পেনশন প্ল্যান এবং ইউলিপ সব চেয়ে কম পছন্দের মধ্যে অন্যতম। মহিলারা জীবন বিমার কম প্রিমিয়ামের বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। এছাড়াও তাঁরা পলিসির মাধ্যমে নিশ্চিত আয় চান। Tata AIA-এর তরফে ভারতের ১৮ টি বড় শহরের ১ হাজার জনের ওপরে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল।
Russia-Ukraine War: শীতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ পুতিনকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে