কোথায় কালো টাকা! বাতিল নোটের প্রায় পুরোটাই ফিরেছে ব্যাঙ্কে, রিপোর্ট খোদ আরবিআইয়ের
বাতিল হওয়া নোটের ৯৯.৩০ শতাংশই ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার মধ্যে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
নোট বাতিলের প্রায় দুই বছর হতে চলল। তার আগে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা কেন্দ্র সরকারের কাছে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। অন্তত বিরোধীরা ফের দাঁত-নখ বের করে আক্রমণ শানাবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ বাতিল হওয়া নোটের ৯৯.৩০ শতাংশই ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার মধ্যে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে এক ঝটকায় বাতিল হয়ে গিয়েছিল দেশের মোট নোটের প্রায় ৮৬ শতাংশ। কারণ পুরনো ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট নরেন্দ্র মোদী সরকার ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করতেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তখন জানানো হয়েছিল।
এখন আরবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আরবিআইয়ের হাতে ফেরত এসেছে। আর বাজারে নগদ ছিল ১৫ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। ফলে ৯৯.৩০ শতাংশ টাকাই সরকারের ঘরে ফেরত এসেছে। তা ভেরিফিকেশনও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মোদীর সরকারকে ফ্যাসিস্ট অ্যাখ্যা! ৫ মানবাধিকার কর্মীর গ্রেফতারে প্রতিবাদ বিশিষ্টদের]
আরবিআইয়ের হিসাব বলছে, বাজারে ব্যাঙ্ক নোটের সার্কুলেশনও ৩৭.৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত তা হয়েছে ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। নতুন ৫০০ ও ২ হাজারের নোট মোট মূল্যের ৭২.৭ শতাংশ দখল করে ছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাস অবধি। ২০১৮ সালের মার্চে এসে তা ৮০.২ শতাংশ জায়গা দখল করে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, নোট বাতিলের পর ডিজিটাল লেনদেনের উপরে জোর দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। নগদের জোগান কমিয়ে অনলাইনে লেনদেনে আর্থিক স্বচ্ছ্বতা আসবে বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে নোট বাতিলের পরের কয়েকমাসে অনলাইনের রমরমা থাকলেও পরে সেই তেজ কমে গিয়েছে। আমজনতা ফের নগদেই লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্র নানা উপায়ে অনলাইনে লেনদেনে জোর দিলেও এখনও দেশের সিংহভাগ মানুষের কাছে নগদে লেনদেনই প্রধান উপায়।
[আরও পড়ুন: বিজেপির জল্লাদদের সঙ্গে তৃণমূলের উন্মাদদের মেলালেন সুজন, পাল্টা তোপ মমতাকে ]