সরকারি হোন বা বেসরকারি চাকুরে, মাইনে পেতে এমাসে কালঘাম ছুটবে, জেনে নিন কেন
৩০ ও ৩১ মে ধর্মঘটে বসছেন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মীরা। কর্মীরা ক্ষুব্ধ কারণ তাদের বেতন মাত্র ২-৩ শতাংশ বেড়েছে। আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই সকলে ধর্মঘটে বসতে চলেছেন।
৩০ ও ৩১ মে ধর্মঘটে বসছেন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মীরা। কর্মীরা ক্ষুব্ধ কারণ তাদের বেতন মাত্র ২-৩ শতাংশ বেড়েছে। আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই সকলে ধর্মঘটে বসতে চলেছেন। কেন্দ্র সরকারের তরফে শ্রম মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক বৈঠকে বসেছিল ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে। তবে সমাধানসূত্র বেরোয়নি।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ডি ফ্র্যাঙ্কো বলেছেন, এই অন্যায্য বেতনবৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্র ব্যাঙ্ক ফেডারেশনের দাবিকে ন্যায্য বলে মানলেও ধর্মঘটে যেতে নিষেধ করেছিল। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
ব্যাঙ্ক অফিসার্স কর্মচারীদের তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে অপারেটিং প্রফিট দ্বিগুণ হয়েছে। স্টাফদের খরচ কমেছে ও ব্যবসা দ্বিগুণ বেড়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, লাভের উপরে ভিত্তি করে নয়, কর্মীদের পরিশ্রম দেখে টাকা বাড়ানো উচিত।
সঠিকভাবে কোনও প্রস্তাব সামনে না আসায় ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ধর্মঘট বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে সারা দেশের ১০ লক্ষ ব্যাঙ্ক অফিসার ও কর্মী ধর্মঘটে নামতে চলেছেন ৩০ ও ৩১ মে।
জানা গিয়েছে, ২৫ দিন আগেই ধর্মঘট নিয়ে নোটিশ দেওয়ার পরও কেন্দ্র সমাধান সূত্রে বের করতে পারেনি। ফলে মাসের শেষে যাদের বেতন হয় তাঁরা হয়রান হতে চলেছেন নিঃসন্দেহে। তাছাড়া ব্যাঙ্কে কাজ সারতে গিয়েও হয়রানি হতে পারে।