প্রতিমাসে স্বামী-স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেবে মোদী সরকার! এই স্কিমে কীভাবে সুবিধা পাবেন?
Atal Pension Yojana: বয়সকালে কীভাবে কি চলবে তা নিয়ে চিন্তা সবার রয়েছে। আর সেই জন্যে অবসরের পর জীবন চালাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যানে বিনিয়োগ করেন। আর এই সুযোগে বিভিন্ন সংস্থাও একাধিক অবসরকালীন প্ল্যান নিয়ে এসেছে।
Atal Pension Yojana: বয়সকালে কীভাবে কি চলবে তা নিয়ে চিন্তা সবার রয়েছে। আর সেই জন্যে অবসরের পর জীবন চালাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যানে বিনিয়োগ করেন। আর এই সুযোগে বিভিন্ন সংস্থাও একাধিক অবসরকালীন প্ল্যান নিয়ে এসেছে।
তবে দেশের মানুষের চিন্তায় কেন্দ্রের মোদী সরকার।
একটা বিশাল অংশের মানুষের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত নয়। আর সেদিকে তাকিয়ে অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana- APY) নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে মোটা অঙ্কের রোজগার করতে পারবেন। এই স্কিমের মাধ্যমে স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা আলাদা ভাবে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারে।
কারা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন?
অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana- APY) এই স্কিম গত ২০১৫ সালে শুরু হয়। মূলত দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন এমন কয়েক হাজার শ্রমিকদের কথা ভেবে এই স্কিম নিয়ে আসা হয়েছিল।
দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ এখন এই পেনশন যোজনার মাধ্যমে যুক্ত। ভারতের যে কোনও নাগরিক এই পেনশনের লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিংবা পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলে খুব সহজেই এই স্কিমের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে পেনশন পেতে পারবেন। এই যোজনার মাধ্যমে ৬০ বছরের পর পেনশন প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে পেনশন পড়তে শুরু করবে।
অটল পেনশন যোজনা আসলে কি?
অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension একটি সরকারি যোজনা। আপনার করা বিনিয়োগ বয়সকালে পেনশন হিসাবে সরকার ফিরিয়ে দেবে। এই যোজনার মাধ্যমে নুন্যতম এক হাজার টাকা, ২ হাজার টাকা, তিন হাজার টাকা, চার হাজার টাকা পেনশন পাওয়া যাবে।
সর্বোচ্চ এই যোজনার মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। এটি একটি সুরক্ষিত পেনশন যোজনা স্কিম। এই যোজনার মাধ্যমে যদি সুবিধা পেতে চান তাহলে আপনার কাছে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর, এবং মোবাইল নম্বর থাকাটা জরুরি।
এই যোজনার মাধ্যমে কীভাবে সুবিধা পাবেন
এই যোজনাতে ১৮ থেকে ৪০ সালের মধ্যে যে কেউ পেনশনের জন্যে তাঁর নাম নথিভুক্ত করতে পারে। তবে আবেদন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তা করতে হবে।
তবে খেয়াল রাখতে একটাই এই প্রকল্পের জন্যে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কোনও ব্যক্তি ১৮ বছর বয়সে অটল পেনশন যোজনাতে বিনিয়োগ করে তাহলে ৬০ বছর পর ৫ হাজার টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে।
এরজন্যে ২১০ টাকা করে টাকা জমা দিতে হবে। এভাবে বিভিন্ন টাকার পেনশন নেওয়ার জন্যে বিভিন্ন টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
১০ হাজার টাকা পেনশন কীভাবে পাবেন?
৩৯ বছর বয়স হয়নি এমন স্বামী-স্ত্রী এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারে। তবে অবশ্যই আলাদা আলাদা ভাবে। তবে ৬০ বছর পর থেকে জয়েন্টে ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাবে। আর তা প্রত্যেক মাসে পাওয়া যাবে।
যে সমস্ত স্বামী এবং স্ত্রীয়ের বয়শ ৩০ বছর কিংবা তার কম, তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবে APY অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। প্রত্যেক মাসে এরজন্যে ৫৭৭ টাকা করে দিতে হবে। যদি স্বামী এবং স্ত্রীয়ের বয়স ৩৫ বছর হয়ে যায় তাহলে প্রত্যেক মাসে ৯০২ টাকা করে কাটবে।
শুধু তাই নয়, এই টাকা দেওয়া কালীন যদি কেউ অর্থাৎ স্বামী কিংবা স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে জীবিত থাকা পার্টনারকে ৮.৫ লখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ৬০ বছর হয়ে যাওয়ার পর প্রত্যেক মাসে পেনশনের সুবিধাও পাওয়া যাবে।