'সকট চৌথ'-এর দিন গণেশের উপাসনা করলেই প্রাপ্তি হবে সন্তানের সুখ
'সকট চৌথ'-এর দিন গণেশের উপাসনা করলেই প্রাপ্তি হবে সন্তানের সুখ
ভগবান গণেশের মহিমা সম্পর্কে কথিত আছে যে তিনি জীবনের সব বিঘ্ন হরণ করেন। তাই তাঁর অন্য নাম 'বিঘ্নহর্তা'। আর সু সন্তানের বরদান পাওয়ার জন্য মা ষষ্ঠীর সঙ্গে সঙ্গে গণেশের উপাসনা করার রীতিও আছে। তাই চৌথের ব্রত করে থাকেন মায়েরা। মূলত শিশুদের দীর্ঘায়ু এবং সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য 'সকট চৌথ'এর উপবাস রাখা হয়। প্রতি বছর মাঘ কৃষ্ণ চতুর্দশীর দিন এই বিশেষ ব্রত অ উপবাস করা হয়ে থাকে। এইবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে 'সকট চৌথ' পালন করা হতে চলেছে আগামী ২১ জানুয়ারি। এই বিশেষ দিনে মহিলারা সারাদিন উপবাস রাখেন এবং সন্ধ্যায় গণেশের পূজা করার পর চাঁদ দেখে উপবাস শেষ করেন। মনে করা হয়ে থাকে যে, এই উপবাস পালন করলে ভগবান গণেশ সন্তানের সকল প্রকার বাধা দূর করেন। তবে এই বিশেষ ব্রত পালনের নিয়ম কী কী, কীভাবে করা হয় এই ব্রত, জেনে নেওয়া যাক।
ব্রতের সময় বস্ত্র পরিধান
ভগবান গণেশের অত্যন্ত প্রিয় রঙ 'হলুদ' তাই তাঁকে এই রঙের ফুল, লাড্ডু আর বস্ত্র অর্পণ করা হয়। সেই মত যে কোনও ভক্ত যদি সকট চৌথের দিন হলুদ রঙের বস্ত্র পরে তাঁর উপাসনা করেন তাহলে তা খুবই শুভ বলে মানা হয়ে থাকে। কিন্তু এই উপবাস, পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের সময় কালো রঙের পোশাক পরা অশুভ। তাই এই সময় মহিলাদের কালো পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। হলুদ ছাড়া লাল পোশাক পরলেও তা শুভ হবে।
চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন
'সকট চৌথ' ব্রততে ভগবান গণেশের সঙ্গে সঙ্গে চন্দ্রের উপাসনা করার বিধিও রয়েছে। এই দিন গণেশের পূজা করার পর চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এক্ষেত্রে চাল ও দুধ মিশিয়ে চাঁদকে জল অর্পণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। অর্ঘ্য নিবেদনের সময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যেন পায়ে সেই জল কোনও ভাবেই না লাগে।
আগে গণেশের পুজো
অনেকেই আগে চন্দ্রকে পুজো করে তার পর গণেশ উপাসনা করে থাকেন। কিন্তু তা একদমই শুভ ফল দেয় না। তাই খেয়াল রাখা উচিত গণেশের পূজা করেই চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে। তবে ভুলেও চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন না করে উপবাস ভঙ্গ করা উচিত নয়।
দূর্বাদলের মহত্ব
সনাতন হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, সকট চৌথ ব্রতের উপাসনায় ভগবান গণেশকে তুলসি পাতা দেওয়া উচিত নয়। দূর্বা শ্রীগণেশের খুব প্রিয়। তাই শ্রীগণেশের পায়ের কাছে দূর্বাদল নিবেদন করা উচিত।
(এই সব তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)