হাতে কেন ধাগা বা রাখী পরানো হয় জানেন! শাস্ত্র দিচ্ছে কোন উত্তর
দেশের এক এক প্রান্তে রয়েছে এক এক ধরনের সংস্কৃতি । আর সেই সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে একাধিক নিয়ম। সঙ্গে রয়েছে একাধিক আচার বিচার।
দেশের এক এক প্রান্তে রয়েছে এক এক ধরনের সংস্কৃতি । আর সেই সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে একাধিক নিয়ম। সঙ্গে রয়েছে একাধিক আচার বিচার। এমন সমস্ত সংস্কৃতি এককালে সভ্যতার অঙ্গ হতে শুরু করে, বর্তমানে ধর্মীয় আচারের অংশ হয়ে গিয়েছে। এমন একটি ধর্মীয় বিষয় হল ধাগা বা রাখী হাতে পরা। কেন হাতে ধাগা বা রাখী পরতে হয়, তা নিয়ে রয়েছে শাস্ত্রীয় কয়েকটি রীতি।
লাল ধাগা
বহু ভারতীয় মহিলা ও পুরুষের হাতেই দেখা যায় লাল রঙের ধাগা। সাধারণত, এতে তিনটি গিঁট বা পাক দেওয়ার রীতিম শাস্ত্র মতে প্রচলিত। মনে করা হয় ব্রহ্মা , বিষ্ণু, মহেশ্বরকে স্মরণ করে প্রতিটি ধাগাতে তিনটি পাক দেওয়া হয়।
রাখী কেন পরানো হয়?
মূলত , রক্ষা করা বা নিরাপত্তার হেতু রাখী পরানো হয়। শাস্ত্র মতে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখী পরিয়ে দেয়। আর সেই মর্মে পরানো হয় রাখী।
কালো ধাগা
অনেকেরই কোমরে, কব্জিতে, কিম্বা গলায় অনেকেই কালো রঙে 'কার' পরেন। মূলত, দক্ষিণ ভারতের একটা অংশে মেয়ের জন্ম হতেই তার পায়ে বেঁধে দেওয়া হয় কালো কার। মনে করা হয়, কোনও অশুভ আত্মা থেকে মহিলাদের দূরে রাখতে এই কালো ধাগা পরানো হয়।
হলুদ বা সবুজ ধাগা কেন বাঁধা হয়?
সাধারণত হলুদ ধাগা বাঁধা হয় জীবনে ইতিবাচক পরিস্থিতি বাড়িয়ে তুলতে। জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলতে তিন ঋষিকে স্মরণ করে পূর্ণিমার রাতে অনেকেই হলুদ ধাগা বাঁধেন বাধা বিপত্তি কমাতে। সবুজ ধাগা লাগানো হয় প্রাকৃতিক সমস্যা ও দুর্যোগ থেকে নিজেকে সরাতে।