কবে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস? জেনে নিন দিনক্ষণ, সেহরি–ইফতারের সময়সূচি
কবে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস? জেনে নিন দিনক্ষণ, সেহরি–ইফতারের সময়সূচি
মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য রমজানের মাস খুব বিশেষ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই পুরো মাস তাঁরা আল্লার উপাসনায় মনোনিবেশ করেন এবং রোজা রাখেন। রমজানকে ইসলামদের ক্যালেন্ডারে নবম মাস বলে মানা হয়। এই বছর রমজান মাস শুরু হতে চলেছে ২ এপ্রিল। যদিও রমজান মাসের সূচনা চাঁদ দেখার ওপরই নির্ভর করে।
কেন রমজান মাস পবিত্র
বিশ্বাস করা হয় যে এই মাসে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ নবী মুহাম্মদের সামনে উন্মোচন করা হয়। এরপর থেকেই এই মাসকে ইসলামে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং রোজা রাখার পরম্পরা শুরু হয়ে যায়। গোচা বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এই পবিত্র মাসের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। রমজানের ঠিক একমাস পর ইদ-উল-ফিতর পালন করা হয়।
এই রোজা রাখার উদ্দেশ্য
রমজান চলাকালীন মুসলিমদের কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করা হয় যে তাঁরা তাঁদের আধ্যাত্মিকতার স্তরকে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাক এবং ইশ্বরের প্রতি সমর্পণের ভাব রাখে। এই রমজানের সময় কিছু নিয়মের পালন করা খুবই জরুরি। রমজান উৎসব আসতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই পবিত্র মাসের ব্যাপারে সব জরুরি তথ্য।
রমজান ২০২২ তারিখ
ইসলামিক ক্যালেন্ডার মতে, রমজানের মাস পুরো একমাস ধরে চলে। এই বছর যদি রমজানের মাস ২ এপ্রিল ২০২২ থেকে শুরু হয় তবে তা ১ মে ২০২২-এ গিয়ে শেষ হবে। এর পরের দিন ইদ পালন করা হবে। যদিও রমজানের তারিখ পুরোপুরি চাঁদের ওপর নির্ভরশীল। রমজানের মাস কখনও ২৯ দিন আবার কখনও ৩০ দিনের হয়।
রমজান ও রোজা
রমজানের সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক পুরো একমাস পর্যন্ত রোজা রাখেন। মুসলিমরা এই সময় সূর্য ওঠার পর থেকে রোজা রাখেন এবং সূর্য ডোবার পরই রোজা ভাঙেন। সূর্য ওঠার আগে যে খাবার খাওয়া হয় সেটি সেহরি নামে পরিচিত। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর নমাজ পরা হয় এরপর রোজা খোলা হয়। এটিকে ইফতার বলা হয়। রমজানের সময় সব মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে রোজা রাখা আবশ্যক বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র নবজাতক শিশু, মহিলা, অন্তঃসত্ত্বা ও ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের এই সময় রোজা রাখার থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অসুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রেও রোজা না রাখলে চলবে।
রমজানের সময় ভারতে সেহরি ও ইফতারের সময়
- ২ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে৪৯ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে
- ৩ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪৮ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে
- ৪ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪৭ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে
- ৫ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪৬ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে
- ৬ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪৫ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে
- ৭ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪৩ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে
- ৮ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪২ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে
- ৯ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪১ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে
- ১০ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৪০ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে
- ১১ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩৮ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে
- ১২ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩৭ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে
- ১৩ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩৬ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটে
- ১৪ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩৫ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে
- ১৫ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩৩ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে
- ১৬ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩২ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে
- ১৭ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩১ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে
- ১৮ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ৩০ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে
- ১৯ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২৮ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে
- ২০ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২৭ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে
- ২১ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২৬ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে
- ২২ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২৫ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে
- ২৩ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২৪ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে
- ২৪ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২২ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে
- ২৫ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২১ মিনিট, ইফতার ৬টা ৫৫ মিনিটে
- ২৬ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ২০ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে
- ২৭ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ১৯ মিনিটে, ইফতার ৬টা ৫৬ মিনিটে
- ২৮ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ১৮ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে
- ২৯ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে
- ৩০ এপ্রিলঃ সেহরি ভোর ৪টে ১৬ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে
- ১ মেঃ সেহরি ৪টে ১৫ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে
- ২ মেঃ সেহরি ৪টে ১৪ মিনিটে, ইফতার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে
রমজানের সময় এই কাজগুলি করতে পারেন
১) রমজান নিয়ে মানুষের মনে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন এই সময় দাঁত মাজতে পারবেন না। কিন্তু এটা সত্যি নয়, এই সময় আপনি আপনার দাঁত পরিস্কার রাখতে পারবেন।
২) এই সময় আপনি সুইমিংও করতে পারেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন মুখের মধ্যে যেন জল না চলে যায়।
৩) রমজানের সময় কোনও খারাপ কথা, ঝগড়া ও মিথ্যা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই সময় মদ খাওয়া ও সিগারেট খাওয়া চলবে না।
৪) রমজানের সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি বিশ্বাস রয়েছে যে আপনি রোজা রাখার সময় আপনার থুথু গিলতে পারবেন না, যা সঠিক নয়। এটা করা যেতে পারে।
রমজানের সময় এই কাজগুলি করা যাবে না
১) রমজান মাসে, সূর্য ওঠার পরে এবং অস্ত যাওয়ার আগে, আপনি কিছু খেতে বা পান করতে পারবেন না। ইফতারের পরই খাওয়া-দাওয়া করা যাবে।
২) রোজা রাখার মুখ্য উদ্দেশ্য এই যে আপনি আপনার প্রধান উদ্দেশ্যগুলিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এমন সময় রমাজান চলাকালীন সকালে বিবাহিত দম্পতিরা শারীরিক সম্বন্ধ করার থেকে বিরত থাকুন।
৩) এই সময়ে, আপনার এবং সমাজের জন্য খারাপ এমন কোনও কাজ করা নিষিদ্ধ।
৪) রোজার সময় ওষুধ খেলে এই নিয়মের লঙ্ঘন হয়। তাই রোজার সময় ওষুধ খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু যাঁদের ওষুধ খাওয়া বাধ্যতামূলক তাঁদের রোজা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এপ্রিল মাসে ৯টি গ্রহের গোচর, জেনে নিন কোন রাশির ওপর শুভ–অশুভ প্রভাব পড়বে