সরস্বতী পুজোর বিশেষত্ব কী, কী বিশেষ রীতি প্রচলন আছে এই বিশেষ দিনে, জানেন আপনি
সরস্বতী পুজোর বিশেষত্ব কী, কী বিশেষ রীতি প্রচলন আছে এই বিশেষ দিনে, জানেন আপনি
সরস্বতী পুজো বিশেষত একটি হিন্দু উৎসব। দেবী সরস্বতীকে বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী বলে হয়ে থাকে। বাগদেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে। এই বিশেষ তিথিকে শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী বলা হয়ে থাকে। মা সরস্বতী পুজোর দিন ছোট শিশুদের হাতে খড়ি দেওয়া হয়। তারপর তাঁরা পড়াশুনা করতে শুরু করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে যেমন- স্কুল, কলেজে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। অনেক বাড়িতেও এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
সরস্বতী পুজোর বিশেষত্ব কী
এই সরস্বতী পুজোর পরের দিনকে 'শীতলষষ্ঠী' বলা হয়ে থাকে। অনেক বাড়িতে এই বিশেষ দিনের পর অরন্ধন পালন করা হয়। আবার অনেক বাড়ি আছে যাদের 'গোটা সিদ্ধ রান্না করা হয়। অনেক হিন্দুদের মতে এটা একটা উৎসব।
কী কী বিশেষ গুরুত্ব আছে
পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজোর একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাগদেবীর পুজো শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালে আয়োজিত করা হয়। প্রথা মেনেই এই পুজো করা হয়। সরস্বতী পুজোয় বিশেষ করে আবীর, আমের মুকুল, দোয়াত-কলম ও যবের শিষ ও একটি বিশেষ ফুল দেওয়া হয় এই পুজোতে। বাসন্তী রঙের ফুল ছাড়া এই পুজো হয়না। প্রচলিত আছে এই সরস্বতী পুজোর আগে পড়ুয়ারা কুল খান না। কারণ এই পুজোতে দেবীকে কুল দিতে হয়। পুজো হয়ে গেলে তারপর ছাত্র-ছাত্রীরা কুল খায়। পলাশ ফুল ছাড়া কোন ভাবেই সরস্বতী পুজো হয় না।
এই বিশেষ দিনে কী কী রীতি প্রচলন আছে
প্রচলিত আছে পুজোর দিন পড়ুয়ারা যেন লেখাপড়া না করেন। কোনও কিছু খাতায় না লেখেন। এই দিনে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার বিশেষ রীতি আছে। পড়ুয়ারা বেশির ভাগ বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ী পড়ে স্কুল কলেজ বা বাড়িতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে থাকেন ।
বাগদেবীর বন্দনায় পড়ুয়ারা কী করেন
শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র উৎসব। অনেক বছর আগে থেকে অর্থাৎ প্রাচীন কাল থেকে এই সরস্বতী পুজো দিনটি পালন করা হয় থাকে। এই বিশেষ দিনে পড়ুয়ারা সকাল বেলায় উপবাস থেকে হলুদ বা বাসন্তী রঙের শাড়িও পড়ে অঞ্জলি দেয়। প্রথা মেনে অনেক পড়ুয়াই আজও এই বিশেষ দিনে নিরামিষ খেয়ে থাকেন। হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই এখনও খিচুড়ি খান। এবছর ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সরস্বতী পুজো পড়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সকলে বাগদেবীর বিশেষ বন্দনা করবেন।