দূর হচ্ছেনা আর্থিক কষ্ট! খড়মাসে এই উপায় পালন করলে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা
প্রতিটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে প্রধান বিষয় হল আর্থিক উন্নতি। আর অর্থ উপার্জন করাই হল মূল লক্ষ। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক কষ্ট করেও পান না ইচ্ছা মত কাজ। অনেকেরই অধরা থেকে যায় উন্নতির শিখর। আবার অনেকে কাজ করেও অর্থের মুখ দেখতে পান না সেভাবে। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে এমন বেশ কিছু উপায় আছে যা ঠিকমত পালন করলে দূর হয় সব অর্থ কষ্ট। আর ১৬ তারিখ অর্থাৎ আজ ধনু রাশিতে প্রবেশ করলেন সূর্য। যা থাকবে আগামী ১৪ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত। তাই শুরু হয়ে গেল খড়মাস। তাই এটাই অর্থকষ্ট দূর করার মোক্ষম সময় হিসেবে বলছেন জ্যোতিষীরা।

একাদশী ব্রত
অর্থের অভাব কাটিয়ে উঠতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় রাখা। এর জন্য ভগবান বিষ্ণুর পূজা, একাদশীর উপবাস খুবই উপকারী। খড়মাসে একাদশীর ব্রত পালন করলে তার ফল খুব শুভ হয়। জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং আর্থিক উন্নতি নিয়ে আসে। এই খড়মাসে একাদশীর উপবাস করলে মোক্ষ লাভ হয়। জীবনে আসে অখণ্ড সৌভাগ্য।

অশ্বত্থ গাছের পুজো
হিন্দু বৈদিক ও পুরাণ মতে অশত্থ গাছ কে খুব পবিত্র মানা হয়। যে কোনও শুভ কাজে সফলতা লাভের জন্য এই গাছের পাতা সঙ্গে রাখলে তার লাভ হয় অনেক গুণ বেশি। তাই খড়মাসে এই গাছের আরাধনা করার কথা বলেন জ্যোতিষীরা। খড়মাসে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে প্রচুর পুণ্য ও উপকার পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের নিচেও প্রদীপ জ্বালালে সব সমস্যা দূর হয় এবং কিছু দিনের মধ্যেই আর্থিক অবস্থার উন্নতি দেখা যেতে শুরু করে।

তুলসী গাছের পুজো
সনাতন হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছ স্বয়ং দেবীর রূপ। এমনকি শালিগ্রাম রূপে নারায়ণ তুলসীকে বিবাহ করেন। তুলসী গাছের একটি পাতাই পবিত্র করে সবকিছু। তাই তুলসীর পুজ করা এই সময় খুবই ভালো। প্রসঙ্গত, তুলসী গাছে রোজ জল নিবেদন, পুজো, সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে বিশেষ করে খড়মাসে এটি করলে পরিবারের জন্য সুখ বয়ে আনে। কেটে যায় সব বিপদ। এতে মা লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন। তাই আর্থিক কষ্ট হলে এই সময় তুলসীর পুজো করা অত্যন্ত শুভ।

লক্ষ্মী মন্ত্র জপ
ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে লক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই সময় দেবীর কমলা রূপের পুজো করলে প্রচুর সম্পদ ও সাফল্য নিয়ে আসে। তবে মা লক্ষ্মীর স্তোত্র ও মন্ত্র অনেক আছে। তার মধ্যে 'ওম শ্রী হ্রীম ক্লিন শ্রী সিদ্ধ লক্ষ্ম্যায় নমঃ' পাঠ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
জীবন ধারনের ক্ষেত্রে অর্থই অন্যতম প্রধান উপাদান। তাই খড়মাসে পূর্ণ শ্রদ্ধা আর নিষ্ঠার সঙ্গে এই সব নিয়ম পালন করলে ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা, এমনটাই বলেন জ্যোতিষীরা।