
সম্পদের দেবতা কুবেরের আশীর্বাদ পেতে এই সামান্য কিছু উপায় করলেই হবে বিপুল অর্থপ্রাপ্তি
সনাতন ধর্ম ও পুরাণ অনুযায়ী স্বর্গলোকে দেবতাদের কোষাধ্যক্ষ বলা হয়ে থাকে সম্পদের দেবতা কুবেরকে। আর ধন সম্পদ লাভ করতে কে না চান, টাই সকলেই মা লক্ষ্মীর পাশাপাশি ধন সম্পদের দেবতা কুবেরের আশীর্বাদ কীকরে লাভ করা যায় সেই দিকেও সচেষ্ট হন। ঠিক তেমনই বিশেষ কিছু উপায় করলেই সহজে আশীর্বাদ লাভ করা যায় সম্পদের দেব কুবেরের। দেখে নেওয়া যাক বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে সামান্য কিছু উপায় করলেই লাভ হবে ধনদেবতা কুবেরের অপার কৃপা, সেই সঙ্গে মুক্তি মিলবে জীবনের সব ঋণ থেকেও।

ঋণের বোঝা
সকল মানুষের জীবনে ঋণ হল সবথেকে বড় চিন্তার কারন, মহাভারতে ধর্মরাজকে এই কথা বলেছিলেন স্বয়ং যুধিষ্ঠির। সেই মত ঋণের হাত থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পেতে চান সকলেই। কিন্তু, অনেক সময় পরিস্থিতির সামনে বাধ্য হতে হয় সেই ঋণের বোঝা নিয়ে ঘুরতে। অনেক সময় আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য ঋণ থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল আর্থিক অবস্থার কারণ হতে পারে বাড়ির বাস্তু ত্রুটি। জেনে নেওয়া যাক সামান্য বাস্তু দোষ সারিয়ে কীভাবে জীবনে হতে পারে আরও সুন্দর।

বাড়িতে বাথরুমের অবস্থান
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির বাথরুম দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই দিকে বাথরুম করলে অপ্রয়োজনীয় ঋণের বোঝা থেকে যায়। যদি কোনো কারণে ওইদিকে বাথরুম তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে ওইদিকে একটি লবণ ভর্তি বাটি রেখে দিতে হবে। এতে বাস্তু দোষ দূর হবে।

ঋণশোধের প্রথম কিস্তি
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি কেউ কোনও ধরণের ঋণ নিয়ে থাকেন তবে তার প্রথম কিস্তি মঙ্গলবার পরিশোধ করতে হবে। এতে খুব তাড়াতাড়ি ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আয়না রাখার দিক
যদি ঘরে বা দোকানে কাঁচের আয়না লাগাতে হয়, তবে এর জন্য সর্বদা উত্তর-পূর্ব দিক বেছে নেওয়া উচিত। এতে বাড়িতে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে কখনও ঋণের সমস্যা হয় না।

অপরিষ্কার বাসন
সাধারনত মানুষ খাবার পরে বাসনপত্র ঘরে রেখে দেয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এটি করলে বাস্তু দোষের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, এটি করলে ঘরে অর্থের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি দারিদ্র্যতাও বাড়ে। তাই খাওয়ার পড়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরিষ্কার বাসন মেজে রাখা উচিত।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ ও বাস্তু তথ্যের উপর নির্ভরশীল)