বাস্তু ত্রুটির কারণেও দেরি হতে পারে বিয়েতে, বাড়িতে এই টোটকাগুলি করলে শীঘ্রই সুখবর আসবে
বাস্তু ত্রুটির কারণেও দেরি হতে পারে বিয়েতে, বাড়িতে এই টোটকাগুলি করলে শীঘ্রই সুখবর আসবে
বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে যদি কোনও বাস্তু ত্রুটি থাকে তা কেবল শারীরিকভাবেই ক্ষতি করেনা বরং আর্থিক সমস্যাও ডেকে আনে। এ কারণে মানুষ প্রায়ই খুব বিরক্ত হয়। অনেক চেষ্টার পরেও তাঁরা এই সমস্যাগুলি থেকে রেহাই পান না, তখন শুধুমাত্র বাস্তু টিপস কাজ করে। শুধু তাই নয়, ঘরে উপস্থিত বাস্তু দোষ বিবাহ যোগ্য নারী–পুরুষের বিবাহেও বাধা সৃষ্টি করে। অনেক সময় অনেক চেষ্টার পরেও ছেলে বা মেয়ের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়ার কারণ হল ঘরে উপস্থিত বাস্তু দোষ। অনেক সময়ই এই ত্রুটির কারণে বিয়ের সম্পর্ক হতে হতেও ভেঙে যায়। যদি আপনারও ছেলে বা মেয়ের বিয়েতে দেরি হচ্ছে তবে এই বাস্তু টোটকাগুলি করে ঘরের বাস্তু দোষ দূর করুন। এরকম করলে খুব শীঘ্রই বাড়িতে খুশির খবর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জেনে নিন বাড়ির বাস্তু দোষ দূর করার উপায়।
বিবাহ যোগ্য ছেলে–মেয়ের ঘর হোক এই দিশাতে
বাস্তু অনুসারে, কখনও কখনও বিবাহযোগ্য সন্তানদের ঘর ভুল দিকে হওয়ার কারণেও বিয়েতে দেরি হয়। যদি আপনার সন্তানের বিবাহযোগ্য বয়স হয়, তাহলে তাঁদের ঘরটি বায়ু কোণে হওয়া উচিত এবং তাঁদের উত্তর-পশ্চিম দিকে করে ঘুমনো উচিত। ঘর যদি পশ্চিম কোণে না হয়, তবে মনে রাখবেন উত্তর দিকে মুখ করে ঘুমনো উপকারি হতে পারে।
ঘরের রঙ
আপনাকে বলে রাখি যে ঘরের রঙও মানুষের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বাস্তু অনুসারে বিবাহ যোগ্য সন্তানদের ঘরের রঙ গোলাপি হওয়া উচিত। অথবা এমন কোনও রঙ করুন যাতে সেই রঙ চোখে না লাগে। সন্তানদের ঘরের রঙ খুব বেশি গাঢ়, বাদামী, নীল বা কালো হওয়া উচিত নয়।
হাঁসের জোড়া
যাঁদের বিয়ে হতে সমস্যা হচ্ছে বা দেরি করে হচ্ছে, তাঁদের বাস্তু অনুযায়ী ঘরে হাঁসের জোড়া রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হাঁসের জোড়া রাখার সময় মনে রাখবেন সেখানে একজন নর ও অন্যটি যেন নারী হয়। এরকম করলে তাঁদের বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
দেওয়ালের সঙ্গে খাট যেন না লেগে থাকে
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বিয়ের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের তাঁদের ঘরের খাট এমনভাবে রাখা উচিত যাতে তাঁরা উভয় দিক থেকে নামতে পারেন। অর্থাৎ বিছানা একেবারে দেয়ালের সঙ্গে লাগানো উচিত নয়। এমনটা করলে বিয়েতে বাধার সৃষ্টি হয়।