জীবনে অশান্তি–সমস্যা? অমাবস্যার সময় বাধাবিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে এই কাজগুলি করুন!
অমাবস্যার সময় বাধাবিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে এই কাজগুলি করুন!
অমাবস্যা ও পূর্ণিমাকে বিশেষ বলে মনে করা হয়। এর সঙ্গে আলাদা আলাদা মাসে যে সব অমাবস্যা–পূর্ণিমা আসে তাদেরও মাহাত্ম্য অন্যরকম। এরই মধ্যে একটি হল পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা। এইদিন পিতৃপক্ষ শেষ হয় এবং যেসব মৃতদের মৃত্যুর তিথি জানা নেই তাদের এইদিনে শ্রাদ্ধ করা হয়। আগামী ৬ অক্টোবর পিতৃ মোক্ষ অআবস্যা রয়েছে, ওইদিন আবার মহালয়াও। যদি আপনার জীবন অনেক সমস্যা ও অস্থিরতায় ঘিরে থাকে তাহলে কিছু উপায় এইদিন করে স্বস্তি পেতে পারেন। এই উপায়গুলি অন্য অমাবস্যার সময়ও করা যেতে পারে।
অমাবস্যার দিন এই উপায়গুলি করুন
অমাবস্যার দিন চাঁদ দেখা যায় না। এইদিন দান ও টোটকা করলে পিতৃদোষ, ছায়া দোষ আর মানসিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও, এই দিনে, পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করুন।
অমাবস্যার
দিন
পিঁপড়ে,
পাখি,
গরু,
কুকুর,
কাকেদের
জন্য
খাবার–জল
দিন।
এটা
করলে
পিতৃদোষ
কেটে
যায়,
পূর্বর্পূরুষের
আত্মা
শান্তি
পায়।
আপনার
জীবনের
অনেক
সমস্যা
সমাধান
হয়ে
যায়।
অমাবস্যার
দিন
কপালে
চন্দন
বা
কেশরের
তিলক
লাগান।
এই
দুই
জিনিসই
খুব
পবিত্র
বলে
মনে
করা
হয়।
এছাড়াও
হলুদ
রঙের
পোশাক
পরুন,
হলুদ
বর্ণের
কোনও
খাবার
দান
করতে
পারেন।
এদিন
বাড়ি
পরিস্কাক
করুন।
বাড়ির
প্রত্যেকটা
কোণার
ময়লা
পরিস্কার
করে
বাড়ি
পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন
করে
তুলুন।
এতে
নেতিবাচকতা
দূর
হবে।
অমাবস্যার দিন পায়েস বানিয়ে ব্রাহ্মণকে ভোজন করান, এতে জীবনের সব অস্থিরতা দূর হবে। এছাড়াও সাদা ফুল জলে ভাসিয়ে দিন এতেও জীবন থেকে অনেক সমস্যা দূর হবে।
অমাবস্যার দিন ঘরের ইশাণ কোণে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। এর জন্য লাল রঙের সুতো দিয়ে প্রদীপ তৈরি করুন এবং গরুর ঘি দিয়ে কেশর মিশিয়ে প্রদীপটি পূরণ করুন। এটি ঘরে সম্পদ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
বলা হয়, এই অমাবস্যায় সন্ধের পর বাড়ির সদর দরজার সামনে দু’টি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালাবেন। এর ফলে বাড়ির সমস্ত নেগেটিভ শক্তি বেরিয়ে গিয়ে পজিটিভ শক্তির আবির্ভাব ঘটবে। এই দিন সন্ধ্যাবেলায় একটি কুয়ো বা একটি গর্তে এক চামচ দুধ ঢালুন। তাতে আপনার জীবনের সমস্ত বাধাবিপত্তি দূর হয়ে যাবে।
এই অমাবস্যা চলাকালীন গঙ্গা স্নান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই বছরও করোনা আবহের জন্য আপনার স্নানের জলে বাড়িতে থাকা সামান্য গঙ্গার জল মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে কিছু তিল যোগ করুন। এই জলে স্নান করে সূর্য দেবতাকে প্রণাম করুন।