ভুলেও ঘরে রাখা উচিত নয় এইসব আসবাব, নাহলে হতে পারে চরম বিপদ!
ভুলেও ঘরে রাখা উচিত নয় এইসব আসবাব, নাহলে হতে পারে চরম বিপদ!
প্রতিটি মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হল তাঁর বাড়ি। সে যেমনই হোক না কেন সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে যায় সুখের বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই। কিন্তু বাড়ি ঘরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম নিয়ম রীতি আছে। ঠিক তেমনই সনাতন ভারতীয় মতে বাড়ির নিয়ম রীতিকে বাস্তু শাস্ত্র বলা হয়ে থাকে। বাড়ির প্রতিটি জিনিসের মতই বাস্তু শাস্ত্রে আসবাব পত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
আসবাবের গুরুত্ব
বাস্তু অনুসারে ঘর বা আসবাব তৈরির সময় বাড়ির ভিতরে যত্ন না নিলে নেতিবাচক শক্তি জীবনে প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, বাড়ির আসবাবপত্র যদি বাস্তু অনুসারে হয়, তবে ব্যক্তি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য লাভ করে। বাড়িতে রাখা আসবাবের সঙ্গে সুখের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক বাড়িতে কেমন ধরনের আসবাব পত্র রাখা উচিত এবং উচিত নয়।
আসবাবের আকার-আকৃতি
সনাতন বাস্তু অনুসারে আসবাব কেনার সময় এর আকারের বিশেষ নজর নেওয়া উচিত। আসবাবপত্রের প্রান্ত ধারালো হওয়া উচিত নয়। এতে একদিকে যেমন চোট আঘাত লাগার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, ঠিক তেমনই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে। তাই ঘরে গোলাকার প্রান্তযুক্ত আসবাবপত্র রাখা শুভ মনে করা হয়।
কাঠের আসবাবের গুরুত্ব
আজকাল বাজারে প্লাস্টিক ও লোহার আসবাবপত্র সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঠের আসবাবপত্র রাখা সবসময়ই ভালো। লোহা বা প্লাস্টিকের তৈরি আসবাব ঘরে নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদেরও মানসিক অবসাদের মধ্যে পড়তে হয়। সেই সঙ্গে বাড়িতে অযথা ক্লেশের সৃষ্টি হয়।
কোন কাঠের আসবাব অশুভ?
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী অশ্বত্থ, চন্দন এবং বট কাঠের তৈরি আসবাব বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ এই গাছগুলোকে পুজ করা হয়ে থাকে। তবে ঘরে চন্দন কাঠের সিংহআসন রাখা শুভ। অন্যদিকে, নিম, শাল, সেগুন, অর্জুন এবং অশোক কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাবপত্র ঘরে রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
আসবাবে দিক নির্ণয়
কোন আসবাব ঘরের কোন দিকে রাখা হবে তাও নির্ভর করে বাস্তুর উপর। আসবাবপত্র যদি খুব ভারী হয়, তবে তা বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত। তবে হালকা ওজনের আসবাবপত্র উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে ভারী আসবাবপত্র উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে নেতিবাচক শক্তির সঞ্চালন হয়। যার কারণে জীবনে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
( এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ ও বাস্তু তথ্যের উপর নির্ভরশীল)