জীবনে ভুলেও করবেন না এইসব কাজ, নাহলে আসবে বড় বিপদ!
জীবনে ভুলেও করবেন না এইসব কাজ, নাহলে আসবে বড় বিপদ!
সনাতন ধর্মে অনেক বেদ ও পুরাণ রয়েছে, যেখান থেকে যুগে যুগে কয়েক সহস্র মানুষ জীবনযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক অনুভূতি ও অনুপ্রেরণা পায়। আর পরবর্তীকালে সেই সকল পুরাণ থেকেও নানা তথ্য ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করেছে। আর সেই সকল তথ্য সম্বলিত সহজ সরল নীতিজ্ঞান প্রতিটি মানুষ যদি জীবনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেনে চলেন তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সেই রকমই সনাতন ধর্ম ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে মানুষকে এমন অনেক ভুল এড়াতে বলা হয়েছে, যার কারণে সৌভাগ্য় বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং জীবনে নেমে আসে দুর্ভাগ্য। জেনে নেওয়া যাক যে এমন কোন কোন কাজ বা স্বভাব যেগুলিকে খুব অশুভ বলে মনে করা হয়।
অন্যের সুখে হিংসা করা
অনেকে আছেন যারা অন্য মানুষের সুখ দেখে মনে মনে খুব হিংসা করেন। কিন্তু এই স্বভাব থাকা একদমই ভালো বলে মনে করা হয়না। এই ঈর্ষা যে কোনও মানুষের মনকে বিষাক্ত করে তোলে, যার ফলে জীবনে নেতিবাচক প্রভাব অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। তাই ভুলেও কোনও মানুষের এই হিংসার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় এবং ভগবান যাকে যা দিয়েছেন তাতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
অপরিষ্কার বাড়ি
মা লক্ষ্মী সেই সমস্ত মানুষের বাড়িতে সর্বদা বাস করেন, যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও সাত্ত্বিকতা বজায় থাকে। মনে করা হয় যে নোংরা কাপড় পরে থাকলে বা ঘর নোংরা রাখলে মা লক্ষ্মী কখনই সেই ঘরে স্থায়ী হন না। অর্থাৎ এইরিকম ব্যক্তিদের সারা জীবন দারিদ্র্যের মধ্যে কাটাতে হয়, বা এই সকল অপরিষ্কার বাড়িতে কোনও না কোনও ভাবে আর্থিক সংকট বজায় থাকে। তাই যদি জীবনে আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই সবসময় নিজের বাড়ি ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা খুব জরুরী।
অহংকার করা
কথাতেই আছে যে অহংকার অতি শক্তিশালী মানুষকেও পতনের মুখে ঠেলে দেয়। তাই জীবনে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে অনেক টাকা এলে মানুষের কখনই অহংকার করা উচিত নয়। এতে একজন ব্যক্তি জেনে বা নিজের অজান্তেই অন্য ব্যক্তিকে অপমান করে। যার কারণে সমাজে তার সম্মান কমে যায় এবং অচিরেই সেই বাড়ি থেকে মা লক্ষ্মীও বিদায় নেন।
রাত্রে দই খাওয়া
সনাতন ধর্মে পুরাণ এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে খাদ্য ও পানীয়ের নানা নিয়ম ও বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবে এটি কখনওই রাতে খাওয়া উচিত নয়। রাতে দই খেলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার কারণে ভালো ঘুম হয় না এবং শরীর অস্থির থাকে। রাতে দই খেলে স্বাস্থ্যেও তার খারাপ প্রভাব পড়ে। এছাড়া মনে করা হয় রাতে দই খেলে ব্যক্তির চন্দ্র স্থান কমজোরি হয়ে যায়, ফলে ব্যহত হতে পারে তাঁর মানসিক শান্তি। তাই এই কাজ করা মোটেই শুভ বলে মনে করা হয় না।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
বিপরীতমুখী বুধ, মঙ্গলবার থেকে কোন তিন রাশির ব্যক্তিদের শুভ ফল দেবে