জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতিটি রাশির জাতক জাতিকাদের দুর্বল দিক কোনগুলি জানেন?
পৃথিবীতে স্থায়ী প্রত্যেক জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রেই জন্ম সময়, দিন, স্থান হিসেবে আলাদা আলাদা রাশি ও লগ্নের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর সেক্ষেত্রে সেই রাশির স্বভাব ও ধরনের মতই আচরণ করেন নির্দিষ্ট জাতক বা জাতিকা। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে প্রতিটি মানুষই নির্দিষ্ট কোনও না কোনও রাশির অধীন। আর সেই সকল রাশির স্বভাব অনুযায়ী বেশকিছু শক্তিশালী দিক যেমন আছে, ঠিক তেমনই রয়েছে দুর্বল দিকও। আর সেই সকল দুর্বল দিকের জন্য সংশ্লিষ্ট রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যেও দুর্বল দিক তৈরি হয়, যার ফলে নানা রকম ভাবে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষ মতে কোন কোন রাশির দুর্বল দিক কেমন।

মেষ রাশি
মেষ রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুবই ধীর স্থির শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁদের ক্ষেত্রে বেশকিছু দুর্বল দিকও থাকে, আর জার ফলে তাঁরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মেষ রাশির জাতক জাতিকারা কোনও কাজ করার আগে খুব একটা চিন্তা ভাবনা করেননা। তাঁরা হুটোপাটি করে যে কোনও কাজ করেন এবং যার জন্য সঠিক ভাবে সেই কাজ করা হয়না। ফলে পরবর্তী কালে তারজন্য নানা সমস্যা হয়। এই স্বভাব দূর করতে এই রাশির লোকেদের দিনের কিছু সময় ধ্যান করা খুব জরুরী।

বৃষ রাশি
বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুবই আনন্দপূর্ণ এবং প্রাণোচ্ছল হয়ে থাকেন। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে বৃষ রাশির ব্যক্তিরা অলস প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আর তার ফলে জীবনের অনেক ভালো ভালো কাজ করার থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এই স্বভাবের জন্যই তাঁদের জীবনের প্রগতিশীল সময় অনেক বেশি বয়সে শুরু হয়। এই স্বভাব কাটাতে বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের ব্যায়াম করা দরকার।

মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের ক্ষেত্রে এঁরাও খুবই প্রাণবন্ত হয়ে থাকেন। মিথুন রাশির ব্যক্তিরা রূপচর্চা করতেও বেশ পছন্দ করেন। আর সেক্ষেত্রে তাঁরা নানা রকম প্রসাধনী জিনিস কেনেন। বার বার প্রসাধনী জিনিস বদল করার কারণে একসময় তাঁদের ত্বকের উপর বাজে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আগে তাঁরা ভেবে করেননা, যার ফলে বিপদে পরেন। মিথুন রাশির ব্যক্তিদের উচিত নিজেদের সিদ্ধান্ত খুব দৃঢ় ভাবে নেওয়া।

কর্কট রাশি
কর্কট রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুবই সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। তাঁরা সবসময় সকলের কাজে বেচারা সেজে থাকতে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে গিয়ে তাঁরা অনেকসময় এমন কিছু পন্থা অবলম্বন করে ফেলেন, যার জন্য তাঁরা মুশকিলে পড়ে যান। এই রাশির ক্ষেত্রে উচিত সারা দিনে অন্তত একবার মনে মনে ঈশ্বরের নাম জপ করা।

সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুব দৃঢ় স্ববাবের ও সাহসী হয়ে থাকেন। কিন্তু এই রাশির জাতক জাতিকাদের স্বভাব মাঝে মধ্যেই অহংকারে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আর যারফলে তাঁরা তাঁদের অহংকার তুষ্টির জন্য হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন। অনেক সময় সিংহ রাশির ব্যক্তিরা অতিরিক্ত স্বাধীনচেতা হওয়ার কারণে নানা ঝামেলায় পড়েন তখন তাঁদের পাশে পরিজনেরা থাকে না। এই রাশির ব্যক্তিদের উচিত কৃষ্ণের উপাসনা করা।

কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুবই নম্র স্বভাবের হয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁরা সবসময় আকর্ষণীয় জিনিসের পিছনে ছুটে যান। কিন্তু সব উজ্জ্বল জিনিস যেমন সোনা হয় না, তেমনই সব আকর্ষণীয় জিনিস সব সময় ভালো হয় না, এই কথা মাথায় না রাখার ফলে কন্যা রাশির ব্যক্তিদের এই পদক্ষেপ তাঁদের নানা বিপদে ফেলে।

তুলা রাশি
তুলা রাশির জাতক জাতিকারা অসাধারণ শিল্পগুণ সমৃদ্ধ ও সৃজনশীল হয়ে থাকেন। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে তাঁরা সঠিক ভারসাম্য রেখে চলতে খুব পছন্দ করেন। আর সেই কারণে তুলা রাশির জাতক জাতিকারা সিদ্ধান্তহীন হন মাঝে মধ্যেই। তাঁদের এই স্বভাবের ফলে সমস্যায় পড়েন তুলা রাশির জাতকরা। এই স্বভাব থেকে মুক্তি পেতে তুলা রাশির মানুষদের শিবের উপাসনা করা দরকার।

বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের সবথেকে দুর্বল দিক হল তাঁদের হিংসা করার প্রবণতা। এছাড়াও এরা অনেক সময় সঠিক কাজে সঠিক দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হন না। অতিরিক্ত বোঝার বাতিকও এই রাশির জীবনে নানা সংশয় ডেকে আনে।

ধনু রাশি
ধনু রাশির জাতক জাতিকারা তাঁদের লক্ষে স্থির থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু অনেক সময় ধনু রাশির ব্যক্তিরা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং এই স্বভাবের ফলে তাঁরা মুশকিলে পড়ে যান। এছাড়াও বেশি আবেগ প্রবণ হওয়ার ফলে এই রাশির জাতক জাতিকাদের অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। দুর্গা নাম জপ করা তাই তাঁদের জন্য ভালো।

মিকর রাশি
এই রাশির জাতক জাতিকাদের অতিরিক্ত মেজাজ ও পরিস্থিতি না বোঝার ক্ষমতা জীবনে নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি করে।

কুম্ভ রাশি
কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা এমনিতে খুব বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। কিন্তু এই রাশির মানুষরা খুব অন্তর্মুখী স্বভাবের হন। এছাড়াও প্রয়জনের থেকে বেশি সাবধানী হওয়ার কারণে এঁরা জীবনে অনেক ভালো সুযোগ ও সুন্দর সময় নষ্ট করে ফেলেন।

মীন রাশি
মীন রাশির জাতক জাতিকাদের দুর্বল দিক হল তাঁরা নিজেদের আবেগকে বশবর্তী করতে পারেন না। আর জার ফলে তাঁরা আবেগের বশে এমন কাজ করে ফেলেন যা তাঁদের জীবনে নানা সমস্যা ডেকে আনে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)
মঙ্গল গোচরের ফলে ৪০ দিন এই রাশিদের জীবনে ধন–অর্থের অভাব থাকবে না