মকর সংক্রান্তিতে এই কাজগুলি করলেই সৌভাগ্যের সঙ্গে হবে মোক্ষ লাভ
মকর সংক্রান্তিতে এই কাজগুলি করলেই সৌভাগ্যের সঙ্গে হবে মোক্ষ লাভ
আর একদিন পরেই পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তিতে মেতে উঠবে গোটা দেশ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই মহত্বপূর্ণ। এই দিন সূর্য তাঁর দক্ষিণায়ন পরিক্রমা শেষ করে পুনরায় উত্তরায়ণের পথে পরিক্রমা শুরু করেন। আর এই দিনেই শেষ হয় খড় মাস। মকর সংক্রান্তিতে সবাই জলাশয়ে স্নান করে সারা বছরের নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি লাভের জন্য উপাসনা করে থাকেন। জ্যোতিষ মতে এই বিশেষ দিনে কিছু কিছু উপায় করলে সারা জীবন নানা রকম বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে লাভ হয় মোক্ষ। কী সেই উপায়, জেনে নেওয়া যাক।
জলাশয়ে স্নান করা
মকর সংক্রান্তিতে স্নানের মহত্ব সবথেকে বেশি। মহাভারত অনুযায়ী এই দিনেই পাণ্ডব এবং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ নদীতে স্নান করে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে মৃতদের আত্মার জন্য শান্তি কামনা করেছিলেন। আবার এই দিনেই মা গঙ্গা রাজা ভগীরথের পূর্ব পুরুষদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। তাই প্রতি বছর এই দিনেই গঙ্গাসাগরে লাখ লাখ ভক্ত এসে স্নান করেন। এছাড়াও এই দিন যে কোনও পবিত্র নদী বা জলাশয়ে স্নান করলে পাপ নাশ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই দিনেই সূর্য তাঁর পুত্র শনিদেবের সঙ্গে সব অসন্তুষ্টি ত্যাগ করে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। তাই এই দিন স্নানের গুরুত্ব এত বেশি।
সূর্যের আরাধনা করা
মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য তাঁর উত্তরায়ণ প্রদক্ষিণ শুরু করেন। আর এই দিনেই সূর্যের খড় মাসও শেষ হয়। এই দিন থেকে সূর্যের আলো দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীতে পড়তে শুরু করে। অর্থাৎ পুনরায় দিন বড় ও রাত ছোট হতে থাকে। এই বিশেষ দিনে সূর্যের উপাসনা করা এবং সূর্যকে অর্ঘ্য দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। জলের সঙ্গে লাল ফুল আর লাল আবির দিয়ে অর্ঘ্য দান করলে মোক্ষ লাভ হয়।
দান করা
মকর সংক্রান্তির দিনে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের দান করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিন তিল, গুড়, খিচুড়ি, নতুন কাপড়, কম্বল দান করা খুব শুভ।
তিল ও গুড় খাওয়া
মকর সংক্রান্তির দিন তিল ও গুড় খাওয়া খুবই ভালো। এতে সূর্য ও শনিদেব উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এ ছাড়া শীতে যেসব রোগ হয় সেগুলোও শরীর থেকে দূরে থাকে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)