দু’দিন পরই বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জ্যোতিষ অনুযায়ী জানুন এর প্রভাব ও এই সময় কী করণীয়
গত ২৫ অক্টোবর সূর্যগ্রহণের ১৫ দিনের মাথায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ায় সূর্যের আলো এসে পৌঁছায় না চাঁদের কাছে, তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। গ্রহণের সময় পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারচ্ছন্ন অংশ উমব্রার ছায়ায় চলে আসে চাঁদ। এই প্রক্রিয়ায় চাঁদের বর্ণ রক্তিম হয়ে যায়। আগামী ৮ নভেম্বর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। এটা শুধুমাত্র ২০২২ সালের নয়, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলবে না। এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতের পূর্ব অংশ তথা কলকাতা, ভুবনেশ্বর, পাটনা, গুয়াহাটি, কোহিমা, আইজল ও ইম্ফলের মতো শহর থেকে দেখতে পাওয়া যাবে। দেশের অন্যান্য অংশ থেকে এটি আংশিক রূপে দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই চন্দ্রগ্রহণের সময় কোন কাজ করা উচিত আর কোনটা করা উচিত নয় আসুন জ্যোতিষ মতে জেনে নেওয়া যাক।
চন্দ্রগ্রহণ ২০২২–এর তারিখ ও সময়
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার হতে চলেছে। সূর্যাস্তের পরই আপনার শহর থেকে এটা দেখা যাবে এবং তা শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে।
চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব পড়বে এই জিনিসগুলির ওপর
-সমুদ্র
উত্তাল
হতে
দেখা
দেবে।
-বিশিষ্ট
নেতাদের
বিশেষ
সমস্যার
সম্মুখীন
হতে
হবে।
-দুর্ভিক্ষের
ভয়,
চোর
এবং
আগুন
অনেক
জায়গায়
ক্ষতির
কারণ
হবে।
-শীতকালীন
ফসলের
ক্ষতি
হবে।
-যারা
চুরি,
ডাকাতি,
অপহরণ
ও
অনৈতিক
কাজ
করে
তাদের
জন্য
যন্ত্রণা
ভুগতে
হবে।
-শস্য-দানার
দাম
বাড়বে।
-নিত্যপ্রয়োজনীয়
জিনিসপত্রের
দাম
বাড়বে।
-চিত্রকার,
ইতিহাসবিদ
ও
লেখকদের
ভোগান্তি
বাড়বে।
-কোথাও
ঝামেলা
হবে,
যুদ্ধের
ভয়
থাকবে,
মানুষের
মধ্যে
রোগ
এবং
প্রাকৃতিক
ক্রোধ,
বৃষ্টির
কারণে
ক্ষতি
হতে
পারে।
চন্দ্রগ্রহণ ২০২২–এ কি করবেন ও কি করবেন না
-এই
সময়
স্নান
করা,
দান
করা,
মন্ত্র
জপ,
মন্ত্র-সিদ্ধি,
প্রাণায়াম,
যজ্ঞ
ইত্যাদি
করা
শুভ
বলে
মনে
করা
হয়।
-গ্রহণের
সময়
দেব-দেবীর
মূর্তি
স্পর্শ
করবেন
না,
খাবার
বা
পানীয়
খাবেন
না।
সূতকের
সময়
সহবাস,
ঘুমানো,
নখ
দাঁত
দিয়ে
কাটা
বা
সুইমিং
করার
ওপর
নিষেধাজ্ঞা
জারি
করা
রয়েছে।
-এই
সময়
মিথ্যা
কথা
বা
অনৈতিক
কাজ
করা
উচিত
নয়।
-সূতকের
সময়
শিশু,
বৃদ্ধ
রোগী
এবং
গর্ভবতী
মহিলারা
উপযুক্ত
খাবার
বা
ওষুধ
ইত্যাদি
খেতে
পারেন।
-গ্রহণের
আগে
দুধ,
দই,
আচারে
তুলসীপাতা
দিয়ে
রাখুন।
এটা
নিশ্চিত
করবে
যে
খাবার
নষ্ট
হবে
না।
তবে
শুকনো
খাবারে
যোগ
করার
দরকার
নেই।
রাশিদের ওপর চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব
মেষ:
শরীরে
বেদনা,
চুরির
আশঙ্কা,
সম্পত্তির
ধ্বংস
বৃষ:
অর্থহানি
ও
সমস্যার
সম্মুখীন
মিথুন:
অর্থলাভ
ও
সুখলাভ
কর্কট:
রোগ,
ভুক্তভোগী,
চিন্তা,
ভয়
ও
সংঘর্ষ
সিংহ
:
শেখার
ক্ষেত্রে
বাধা
এবং
শিশুদের
সম্পর্কে
উদ্বেগ
কন্যা:
শত্রু
ও
দুর্ঘটনাক
ভয়,
অতিরিক্ত
ব্যয়।
তুলা:
জীবনসঙ্গী
পাবেন
বৃশ্চিক:
রোগ,
গুপ্ত
চিন্তা,
কাজে
বিলম্ব
ধনু:
খরচ
বাড়বে,
জীবনের
দৌড়
বাড়বে।
মকর
রাশি:
কাজে
সফলতা
ও
দারুণ
লাভ
কুম্ভ:
প্রগতি,
উদ্যম,
দানশীলতা
বৃদ্ধি
মীন:
অর্থহানি,
সমস্যা
ও
যাত্রা।
সূতক কালের বিশ্বাস
সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণকে অশুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে এই সময় কোনও নতুন কাজ বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে নেই এবং গ্রহণের সময় বাড়ির ভেতরে থাকাই শ্রেয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)