শুধু ময়লা নয়, জীবনের সব বিপত্তি তাড়াতেও অত্যন্ত কার্যকর ঝাড়ু
বিপত্তি তাড়াতে কার্যকর ঝাড়ু
সকলেই নিজের নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস কিনে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, যে সেইসব বস্তুর মধ্যে কিছু জিনিস যদি নির্দিষ্ট দিন অনুসারে কেনা হয় তবে তা শুভ বলে প্রমাণিত হয়। এই জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ঝাড়ু। ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদির জন্য যে ঝাড়ু ব্যবহার করা হয় তা স্বয়ং দেবী লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। তাই ঝাড়ু কেনা, এবং এর যত্ন নেওয়ার উপরে যদি সামান্য নজর রাখা যায় তাহলে জীবনের সকল বিপত্তি তো কেটে যায়ই, পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর কৃপায় বাড়ির সদস্যদের আর্থিক ভাগ্যও মজবুত হয়। দেখে নেওয়া যাক ঝাড়ু বিষয়ে কিছু বিশেষ কথা।
ভাগ্য ফেরাবে ঝাড়ু
ঝাড়ু সম্পর্কে একটি বিশ্বাস আছে যে ঝাড়ু কখনোই পা রাখা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, এটি বাড়ির সদর দরজার সামনে রাখা উচিত নয়। ঝাড়ু লোকচক্ষুর আড়ালে রাখাই ভালো। শুধু তাই নয়, ঝাড়ু নষ্ট হয়ে গেলে তা ফেলে দেওয়া উচিত নয়, মন্দির ইত্যাদিতে রাখা উচিত। বলা হয়, কোনো দিন ঝাড়ু কেনা উচিত নয়। এটি কেনার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন আছে। এগুলি মেনে চললে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা।
ঝাড়ূ কেনার দিন
এটি মনে করা হয় যে মঙ্গলবার বা শনিবার ঝাড়ু কেনার জন্য খুবই শুভ। এই দিনে বাড়িতে ঝাড়ু আনলে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। এছাড়াও, বাড়িতে সমৃদ্ধি বিকশিত হয়। এই দিনে ঝাড়ু কিনলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, দিনের পাশাপাশি পক্ষের দিকেও খেয়াল রাখলে ভালো হয়। কৃষ্ণপক্ষে ঝাড়ু কেনা সবসময়ই ভালো বলে মনে করা হয়।
বাড়ির বাইরে ঝাড়ু নেওয়া
বাড়িতে ব্যবহৃত ঝাড়ুকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে পুরানো বা খারাপ ঝাড়ু ঘর থেকে বের করা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়, তাই এই দিন ঝাড়ু ঘরের বাইরে নিয়ে গেলে লক্ষ্মী নারায়ণ উভয়ই রুষ্ট হন। এ ছাড়া ঝাড়ু দিয়ে পা দেওয়া বা অতিক্রম করাও অশুভ বলে মনে করা হয়।
ঝাড়ু রাখার স্থান
শাস্ত্র অনুযায়ী, ঝাড়ু কখনই ঘরের খোলা জায়গায় রাখা উচিত নয়। ঝাড়ু সবসময় এমন জায়গায় রাখুন যেখানে কেউ দেখতে না পারে। শুধু তাই নয়, বিছানার নিচে ভুলেও ঝাড়ু রাখা উচিত নয়। সেই সঙ্গে সূর্যাস্তের পরে ঝাড়ু দেওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে করে মা লক্ষ্মী রেগে যান।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)