শনিচরি অমাবস্যায় হতে চলেছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ বড় পরিবর্তন আনবে জীবনে
চলতি বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহটি জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এই সপ্তাহের প্রথমেই মহা জগতের তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে চলেছে। যার ফলে সংগঠিত হবে ত্রিগ্রহী গোচর। এছাড়াও এই সপ্তাহের শেষের দিকে তথা এপ্রিল মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ তারিখে শনিচরি অমাবস্যার দিনে একটি সূর্যগ্রহণও ঘটতে চলেছে। শনিচরি অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণের মত এরকম কাকতালীয় ঘটনা মহাজগতে খুব কমই ঘটে। এছাড়াও, গ্রহগুলির অবস্থানে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘটতে চলেছে, যা জ্যোতিষ মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বুধ ও শুক্রের অবস্থান
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে আগামী ২৫ এপ্রিল বুধ গ্রহ প্রথমে মেষ রাশি ছেড়ে বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবে। সাধারণত এই গ্রহটি ২১ দিনে রাশি পরিবর্তন করে তবে এবার বুধ আগামী ৬৮ দিন ধরে একই রাশিতে অবস্থান করতে চলেছে যা খুবই বিরল একটি মহাজাগতিক ঘটনা। এর পর আগামী ২৭ এপ্রিল, সম্পদ, সুখ এবং ভালবাসার কারক শুক্র গ্রহ কুম্ভ রাশি ছেড়ে মীন রাশিতে প্রবেশ করবে। যেহেতু মীন রাশি শুক্রের উচ্চতর রাশি তাই এই পরিবর্তনটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাল বলা যেতে পারে।
শনির রাশি পরিবর্তন
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে শনিকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ বলে বিবেচিত করা হয়। বিশেষত শনি যখন তার রাশি পরিবর্তন করে ততখন তাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় কারণ এই গ্রহ সবথেকে ধীর গতিতে রাশি পরিবর্তন করে। যে কোনও রাশিতে প্রবেশ করলে শনি আড়াই বছর পর্যন্ত সেই রাশিতেই থাকে। তখন তার দৃষ্টি বিপরীত ছকের যে রাশিতে পড়ে তাদের জীবনে শুরু হয় সারে সাতি ও ঢাইয়া। আগামী ২৯ এপ্রিল গ্রহচক্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটবে যখন দীর্ঘ ৩০ বছর পর শনি তার নিজস্ব রাশি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। শনি প্রায় আড়াই মাস এই রাশিতে অবস্থান করবে এবং তারপর ফের পিছিয়ে যাবে। এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল শনিচরি অমাবস্যার দিন সূর্যগ্রহণ হবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
পড়বে ব্যাপক প্রভাব
বুধ, শুক্র ও শনির পরপর এই রাশি পরিবর্তনের প্রভাব আবহাওয়া, ব্যবসা বাণিজ্য, শান্তি, বিচার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর পড়তে চলেছে। এই গ্রহ পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন হতে পারে, কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও প্রচণ্ড গরম হতে পারে। এ ছাড়া দেশ ও বিশ্বের বাণিজ্যে বড় ধরনের ওঠানামা দেখা যাবে। সংবিধান বা অন্য কোনো বিষয়ে বিরোধ হতে পারে। কিছু জায়গায় অশান্তি হতে পারে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কাও থাকবে।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ তথ্যের উপর নির্ভরশীল)