খুশির উৎসব ইদ–উল–ফিতর, এক নজরে জেনে নিন এই উৎসবের তারিখ, তাৎপর্য ও ইতিহাস
খুশির উৎসব ইদ–উল–ফিতর, এক নজরে জেনে নিন এই উৎসবের তারিখ, তাৎপর্য ও ইতিহাস
এ বছর ইদ–উল–ফিতর ৩ মে ২০২২, মঙ্গলবারে পালন করা হবে। চাঁদ দেখার পর ইদের তারিখ ঠিক করা হয়। রমজানের পবিত্র মাসেরোজা রাখার পর রোজাকারীরা ইদ পালন করেন। মানা হয় যে এইদিন বদর যুদ্ধে নবী হজরত মোহম্মদ সাহেব বিজয়ী হয়েছিলেন এবং এই বিজয়ের আনন্দে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা প্রতি বছর ঈদ উদযাপন করেন। এ বছরের ইদ বিশেষ কারণ এ বছরই পুরো ৩০টি রোজা রাখা হয়েছে, নয়তো অনেক সময় চাঁদের দেখা আগেই মিলে যায় যে কারণে ২৯দিন রোজা রাখা যায়।
প্রথম ইদ পালন করা হয়েছিল ৬২৪ খ্রীষ্টাব্দে
শোনা যায় যে, ৬২৪ খ্রীষ্টাব্দে প্রথমবার ইদ উল ফিতর পালন করা হয়েছিল। এই উৎসবটি রোজাকারীদের জন্য একটি পুরস্কারের মতো, যা তাঁরা এক মাস রোজা রাখার পরে পায়। এই দিনে মানুষ নতুন পোশাক পরে, সেমুইয়ের নানা ধরনের খাবার খায়। একই সঙ্গে তাঁরা মসজিদে একসঙ্গে নমাজ পড়েন, শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করেন।
আলাদা–আলাদা দিনে ইদ পালন করা হয়
চাঁদ দেখা দেওয়ার পরই রমজান মাস শুরু হয়ে যায় এবং চাঁদ দেখার পরই ইদ পালন করা হয়। যেহেতু ইসলামি ক্যালেন্ডারে চাঁদের ভিত্তিতে গণনা করা হয়, তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপিত হয়। সৌদি আরবে সাধারণত ভারতের একদিন আগে ঈদ উদযাপিত হয়।
জাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম
প্রত্যেক ধর্মের মতো ইসলামেও জাকাত অর্থাৎ দান-খয়রাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইদের উৎসবও যাকাত ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এই দিনে লোকেরা ৩০ দিনের জন্য উপবাস করার শক্তি দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানায়। তাঁরাও ইদ উদযাপন করে এবং গরীবদের জাকাত বা দান করেন। কোরানে বলা হয়েছে, ইদ উপলক্ষ্যে গরীবদের তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতে হবে, যাতে আল্লা সর্বদাই দয়ালু থাকেন দান করছেন সেই ব্যক্তির ওপর। এছাড়াও শিশুদের উপহার হিসেবে ইদি বিতরণ করা হয়।
ইদের নামকরণ
আরবী শব্দ 'আওদ' থেকেই ইদ এসেছে। যার অর্থ ফিরে আসা বা বার বার আসা। প্রতি বছরই দুটি ইদ আসে। 'ইদ' মানে আনন্দ উৎসব। ইদ মানে যা বারবার ফিরে আসে। রমজানের রোজার শেষে এই ইদ আসে বলে এর নাম 'ইদুল ফিতর'। 'ফিতর' মানে উপবাস ভঙ্গ করা। তাই বাংলায় এটি রোজা ভাঙার ইদ। ইদের অর্থ ধৈর্য্য, ভক্তি, দয়া ও সহ্য় ক্ষমতার উদযাপন। নতুন জামাকাপড় পরে এই দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটান মুসলিমরা। এছাড়া ইদের দিনে দরিদ্রদের খাদ্যদ্রব্য দান করারও রীতি রয়েছে।
বখরি ইদ
রমজান মাস শেষ হবার মোটামুটি ৭০ দিন পরে ও ইসলামিক ক্যালেন্ডার জিরহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ইদ বা বখরি-ইদ পালন করা হয়।