আষাঢ় অমাবস্যায় করুন এই সামান্য উপায়, মিলবে জীবনের সব সমস্যা থেকে মুক্তি
আষাঢ় অমাবস্যায় করুন এই সামান্য উপায়, মিলবে জীবনের সব সমস্যা থেকে মুক্তি
সনাতন ক্যালেন্ডারে ঋতুচক্র অনুযায়ী, আষাঢ় ও শ্রাবণ, এই দুই মাস বর্ষাকাল থাকে। আবার ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জুন মাসে জ্যৈষ্ঠ মাস শেষ করে শুরু হয় আষাঢ় মাস। আর সেখানেই পালিত হয় একের পর এক পুজো পার্বণ এবং উৎসব। যেমন এই আষাঢ় মাসেই পালিত হয় প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। এই উৎসব উড়িষ্যার সবথেকে বড় উৎসব। সেই হিসেব মত জুন মাসেই আসতে চলেছে অন্যতম বিশেষ দিন। অর্থাৎ চলতি মাসেই রয়েছে আষাঢ় অমাবস্যা। আগামী ২৮ জুন সংঘটিত হতে চলেছে আষাঢ় অমাবস্যা। প্রবাদ ও লোককথা অনুযায়ী, পাণ্ডবদের প্রপৌত্র জনমেঞ্জয় এই দিনেই তাঁর রাজ্যে মহাভারত পাঠ শুরু করেছিলেন। আর তাই এই বিশেষ দিনে গীতা পাঠ করা অত্যন্ত শুভ। কোনও জাতক জাতিকার বাড়িতে অর্থের অভাব হোক বা কেউ একাধিক ঝামেলায় জর্জরিত হন, সব সমস্যার সমাধান এইদিনে হয় সামান্য কিছু উপায় করলেই। এদিন গীতাপাঠ করলে সকল সমস্যার সমাধান হয় নিমেষে। জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায়ে এই বিশেষ দিনে অবলম্বন করলে জীবনের সমস্যার সমাধান মেলে সহজেই।
গাছ লাগানো
জ্যোতিষ মতে, সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কিছু প্রতিকার করতে হয়। এরফলে জীবনে নেমে আসা দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন দেখে নেওয়া যাক আষাঢ় অমাবস্যায় কোন প্রতিকার গুলো করলে ভালো। সনাতন ঋতুচক্র অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের অমাবস্যা তিথিতে থাকে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে গাছ লাগানোর আদর্শ সময়। পরিবেশের ক্ষেত্রেও শুভ। তাই এই সময় অশ্বত্থ, বাদাম, নিম, আমলকী, অশোক, তুলসী, বেল ইত্যাদি পবিত্র গাছ লাগালে পূর্বপুরুষ ও দেবতারা খুশি হন। তবে এক্ষেত্রে বাড়ির মধ্যে অশ্বত্থ, নিম, আমলকী গাছ লাগানো উচিত নয়। আশেপাশের কোনও ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানো যায় এইদিন।
প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো
জীবনে অনেকেই ছোট হোক কিংবা বড়, নানা রকমের পাপকাজ করে থাকেন। সেই পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আষাঢ় মাসের অমাবস্যা তিথিতে কালো পিঁপড়েকে চিনি মেশানো ময়দা খাওয়ানো খুব পবিত্র বলে মনে করা হয়। এরই পাশাপাশি আষাঢ় মাসের অমাবস্যার দিন পুকুরে বা যে কোনও জলাশয়ে আটার মন্ড করে মাছকে খেতে দিলে জীবনের ছোট বড় যেকোনও সমস্যার সমাধান হয়।
শনির দশা কাটানোর উপায়
অনেক মানুষ আছেন যাঁদের জন্মছকে শনি দোষ থাকে। সেই দোষমুক্ত করতে এই অমাবস্যার দিন সন্ধেবেলা অশ্বত্থ গাছে জল দেওয়া খুব শুভ বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে কর্মফলদাতা শনির যে কোনও দশা কাটানোর জন্য অশ্বত্থ গাছের তলায় সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বলিয়ে শনি চালিশা পাঠ করা খুব শুভ বলে মনে করা হয়।
লক্ষ্মী লাভের উপায়
আষাঢ় মাসের অমাবস্যা তিথিতে সন্ধ্যার সময় বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে অর্থাৎ ঈশান কোণে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো খুব শুভ বলে মনে করা হয়। তবে এক্ষেত্রে তুলোর পরিবর্তে লাল রঙের সুতো দিয়ে সলতে তৈরি করতে হবে। এরপর প্রদীপে সামান্য কেসর অর্থাৎ জাফরান দিয়ে তা জ্বালালে খুব শুভ ফল পাওয়া যায়। মনে করা হয় যে এরফলে ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী খুব প্রসন্ন হন। আর মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে বাড়িতে অর্থের অভাব হয় না। সমাজের দুঃস্থ লোকদের খাওয়ানো এবং দান করাও খুব শুভ। এদিন দুঃস্থ মানুষকে খাওয়ালে শুভ ফল পাওয়া যায়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
দারুণ সুখবর অপেক্ষা করছে নির্জলা একাদশীর দিন, মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকবে সর্বদা