বিশেষ সংযোগে শুরু হচ্ছে শারদীয়া নবরাত্রি, জানুন ঘট স্থাপনের শুভ মুহূর্ত
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অর্থাৎ সোমবার পড়ছে। এইদিন থেকে শারদীয়া নবরাত্রির সূচনা হয়ে যাবে। এটি চার অক্টোবর নবমীর সঙ্গে সম্পন্ন হবে। এই ন'দিনে দেবীর ন'টি রূপের পুজো করা হয়ে থাকে। এইবার ঘট স্থাপনের সময় খুব শুভ মুহূর্ত শুক্ল ও ব্রহ্ম যোগের সংযোগ তৈরি হচ্ছে। ধার্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা পুজো পাঠের জন্য খুবই শুভ।
ঘট প্রতিষ্ঠার পর পুজো
নবরাত্রির প্রথম দিনে ঘট প্রতিষ্ঠার পর দেবী দুর্গার পুজো হবে। এই নবরাত্রিতে, মা দুর্গা তার ভক্তদের আশীর্বাদ করতে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আসেন। মা দুর্গা নবরাত্রিতে বিভিন্ন যানে করে আসেন। এই বছর হাতির ওপর সওয়ার হয়ে আসছেন মা দুর্গা। এটি মানুষের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির সূচক।
ঘট প্রতিষ্ঠার সময়
শুক্ল প্রতিপদ তিথি ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টে ২৩ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৩টে ৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এইজন্য নবরাতরির শুরু ও ঘট স্থাপন ২৬ সেপ্টেম্বরেই করা হবে। ঘট স্থাপনের শুভ সময় সকাল ৬টা ১১ মিনিট থেকে ৭টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। অন্যদিকে, সকাল ৬টা ১১ মিনিট থেকে ৭টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত শুভ সময় রয়েছে, যা ঘট স্থাপনের জন্য সেরা সময়। এছাড়া অভিজিৎ মুহূর্তেও ঘট প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটি ভোর ১ টা ৪৮ মিনিট থেকে ১২টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত।
শারদীয়া নবরাত্রির মাহাত্ম্য
শারদীয়া নবরাত্রি হল মন্দের উপর শুভের জয়ের উৎসব। এটি মা দুর্গার শক্তির প্রতীক বলে মনে করা হয়। পৃথিবীতে যখন মহিষাসুরের অত্যাচার বেড়ে গেল, তখন সমস্ত দেবতারা ত্রিদেবের কাছে সাহায্য চাইলেন। কিন্তু ব্রহ্মার বর পাওয়ার কারণে মহাদেব দেবতাদের সাহায্য করতে অস্বীকার করেন। তখন ত্রিদেব তার শক্তি দিয়ে মা দুর্গাকে সৃষ্টি করেন। সমস্ত দেবতারা তাদের ক্ষমতা ও অস্ত্র মাকে দিয়েছিলেন। এরপর মা দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে নয় ধরে দিন যুদ্ধ করেন এবং দশম দিনে মহিষাসুর নিহত হন। মা দুর্গার শক্তি ও ক্ষমতা দেখে সকল দেবগণ বিস্মিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে ন'দিন ধরে নবরাত্রি এবং দশম দিন দশেরা পালিত হয়। রাবণ বধের আগেও শ্রী রাম মা দুর্গার আরাধনা করে বিজয়ের আশীর্বাদ নিয়েছিলেন।
২৬ সেপ্টেম্বর ঘট স্থাপনের শুভ সময়
সকাল ৬ টা ১১ মিনিট থেকে শুরু করে ৭টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত, চোঘড়িয়ার অমৃত সর্বোত্তম মুহূর্ত সকাল ৬টা বেজে ১১ মিনিট থেকে সকাল ৭টা বেজে ৪২ মিনিট পর্যন্ত। অভিজিৎ মুহূর্ত সকাল ১টা বেজে ৪৮ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা বেজে ৩৬ মিনিট পর্যন্ত।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
ন’দিন নিয়মিতভাবে সপ্তসতী পাঠ করুন, নবরাত্রির ফল পাবেন দ্বিগুণ