কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে চাঁদের আলোয় কেন পায়েস রাখা হয়! জানুন এর ফলে কী হয়
করোনা কালেও, লক্ষ্মীপুজো ঘিরে রীতিমত উৎসবের মেজাজে রয়েছে বাঙালি। এদিন, সকাল থেকেই বিভিন্ন বাঙালি গৃহস্থে পুজোর আয়োজন ঘিরে চলছে তোড়জোড়। তবে করোনার দংশন আর পকেটে প্রবল টান এবারের লক্ষ্মীপুজোর আনন্দকে খানিকটা ম্লান করেছে। সব জিনিসের আকাশ ছোঁয়া দাম। তবে মধ্যেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন কয়েকটি টোটকা রয়েছে যা ধনদেবীকে তুষ্ট করে আপনার সংসারে অর্থভাব দূর করতে পারে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পায়েস
এদিন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতের পায়েস অবশ্যই তালের পায়েস হতে হবে। কোনও মতেই তা যেন সিমাইয়ের পায়েস না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এদিকে, এই পায়েস চাঁদের আলোয় গোটা রাত রাখার নিয়ম প্রচলিত। শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, এতে ধনদেবী তুষ্ট হয়ে অর্থভাব কাটিয়ে দেন। তবে পায়েসকে খুব যত্নসরহাকে পোকামাকড় থেকে দূরে রাখতে হয় এদিন।
কেন রাখায় চাঁদের আলোয় পায়েস?
হিন্দু শাস্ত্রে কথিত রয়েছে পায়েস বহু মোক্ষ লাভ হয়। বহু অপূর্ণ আশা পায়েস পান করলে সম্পন্ন হয়। এদিকে, শাস্ত্রবিধি বলছে, শরৎ পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বহু ব্যাধিনাশক ক্ষমতা থাকে, আর সেই রীতির সঙ্গে রয়েছে বৃন্দাবনের একটি প্রচলিত কাহিনী।
শ্রীকৃষ্ণলীলার সঙ্গে শরৎ পূর্ণিমার চাঁদের আলোর যোগ
বলা হয় শ্রীকৃষ্ণ ষোলো কলা সঙ্গে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। আর এই শরৎপূর্ণিমার চাঁদের আলো সেই ষোলো কলাকে আলকিত করে। এমন দিনে চাঁদের আলোয় পায়েস রাখলে তা বহু গুণের অধিকারী হয়।
পূর্ণিমার তিথি আজ
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য পূর্ণিমার সময় তিথি জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ২০২০ সালের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পূর্ণিমা ৩০ অক্টোবর ১৭:৪৪ মিনিট অর্থাৎ বিকেল ৫ টা ৪৪ মিনিটে শুরু হবে। আর পূর্ণিমা শেষ হবে ৩১ অক্টোবর ২০:১৮ মিনিট, বা সন্ধ্যে ৮ টা ৩১ মিনিটে।