শনির দৃষ্টিতে হবে সর্বনাশ! এই রাশির জাতকরা সাবধান হয়ে যান এখনই
যে কোনও গ্রহের অবস্থান পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলে প্রতিটি রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে। কোনও কোনও রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সেই পরিবর্তন উপকারী প্রমাণিত হয়। আবার কারও জন্য গ্রহের অবস্থান পরিবর্তন মোটেই ভালো ফল দেয় না। ঠিক তেমনই কর্মের ফলদাতা শনেদেব সম্প্রতি রাশি পরিবর্তন করেছেন। প্রসঙ্গত, শনিদেব যদি কোনও রাশির জাতক জাতিকাদের প্রতি সদয় হন, তাহলে তিনি তাকে রাজা করেন। সেই সঙ্গে শনির অশুভ দৃষ্টি যে কোনও মানুষের সর্বনাশ করার জন্য যথেষ্ট।

কুম্ভে শনির প্রবেশ
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মকর ও কুম্ভ রাশির শাসক গ্রহ হলেন শনিদেব। এই গত এপ্রিলের ২৯ তারিখ শনি তার নিজস্ব রাশি কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করেছে। কোনও রাশিতে শনি অবস্থান করলে সেই রাশির জাতকদের ওপর শনির মহাদশা অর্থাৎ সাড়ে সাতি শুরু হয় এবং এই সময়টি সেই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টদায়ক প্রমাণিত হয়। ন্যায়ের দেবতা শনি আগামী ২০২৫ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করতে চলেছেন। আর ততদিন পর্যন্ত এই সময়টা কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য বেশ কঠিন সময় হতে চলেছে। তবে সেক্ষেত্রে যেহেতু কুম্ভ শনির নিজস্ব রাশি সেই কারণে শনির প্রভাব খারাপ হলেও তা অত্যধিক পড়বে না কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের উপর।

কুম্ভ রাশির কঠিন সময়
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, চলতি বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের কঠিন সময় শুরু হয়েছিল। এই দিন থেকে, কুম্ভ রাশির জাতকদের উপর শনির প্রভাব শুরু হয়ে যায়। এরপর গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ শনি তার রাশি পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গেই কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকাদের উপর শনির সারে সাতির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। জ্যোতিষ মত অনুযায়ী শনিদেবের এই সাড়ে সাতির মোট তিনটি পর্যায় রয়েছে এবং যার মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়টি সবচেয়ে কঠিন বলে মনে করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই পর্যায়ে এসে নিজের কাজের জন্য সেই রাশির শনির ক্রোধের মুখোমুখি হতে হয়।

জন্মছকে শনির অবস্থান
যদি কোনও জাতক বা জাতিকার জন্মছকে শনি একটি শক্তিশালী অবস্থানে থাকে তবে সাড়ে সাতির এই সময়টি সেই জাতক বা জাতিকার জন্য বিশেষ ফলদায়ক প্রমাণিত হতে পারে। জ্যোতিষীদের মতে, শনির দশা যে কোনও ব্যক্তির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন নয়। শনির মহাদশায় একাধিক প্রভাব শুভ বলে প্রমাণিত হতে পারে। কারও জন্মছকে শনি যদি শক্তিশালী ঘরে অবস্থান করে থাকে তাহলে শনি সাড়ে সাতি ও শনির 'ঢাইয়া'র সময় সেই জাতক বা জাতিকা সুফল লাভ করতে সক্ষম হন। আর কুম্ভ রাশি হল স্বয়ং শনিদেবের প্রিয় রাশি। তাই এই রাশিতে সাড়ে সাতির সময় যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন, তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন এই রাশির জাতক জাতিকারা।

শনির দুর্বল অবস্থান
অপরদিকে জন্মছকে শনির দুর্বল অবস্থান যে কোনও রাশির জাতক জাতিকাদের নানা রকমের সমস্যায় ঘিরে ফেলতে পারে। এই সময়ে উচিত শনিদেবকে সন্তুষ্ট রাখা। শনিদেবকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য সবথেকে ভালো উপায় হল ভগবান শিবের পুজো করা। কারণ, শিব হলেন শনির গুরু। এছাড়াও এই সময় শনিবারের দিন সন্ধেবেলা অশ্বত্থ গাছের তলায় সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো খুব শুভ। কোনও মন্দিরে গিয়ে 'ওম শং শনেশ্চরায় নম' মন্ত্র অন্তত ১০৮বার জপ করাও খুব শুভ। এছাড়া বজরংবলীর উপাসনা করলেও সাড়ে সাতির খারাপ প্রভাব দূর হয়।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
বাড়িতে লক্ষ্মণ গাছ লাগান , এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন