শিবের রূপে পূজিত হয় রুদ্রাক্ষ গাছ, এর অব্যর্থ গুণাগুণ জানুন শ্রাবণের শিবরাত্রির আগে
শিবের রূপে পূজিত হয় রুদ্রাক্ষ গাছ, এর অব্যর্থ গুণাগুণ জানুন শ্রাবণের শিবরাত্রির আগে
শ্রাবণ মাসে আসন্ন ৬ অগাস্ট রয়েছে শিবরাত্রি। এই বিশেষ মাসে শিব পুজো ঘিরে বিভিন্ন রীতি প্রচলিত রয়েছে ঘরে ঘরে। শ্রাবণমাসে শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢালা যেমন একটি শাস্ত্র মতে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, তেমনই এই মাসে শিবের বিশেষ আরাধনাও বেশ গুরুত্ব পায় হিন্দু মতে। এদিকে, বর্ষায় অনেকেই বাড়িতে নতুন নতুন গাছের চারা লাগিয়ে থাকেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদরা বলছেন, শিবের আশীর্বাদ পেতে বর্ষাকালের শ্রাবণ মাসে এক বিশেষ গাছ লাগালে, তা সুখদায়ী হয়। বহু ধরনের সমস্যা বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেয় এই গাছ। শুধু তাই নয়, শিব রূপে পূজিত এই গাছ শ্রাবণ মাসে বহু ধরনের চমৎকার ঘটিয়ে থাকে গৃহস্থে। একনজরে এই গাছের গুণাগুণ দেখে নেওয়া যাক।
শিবরূপী কোন গাছ রক্ষা করে বিপদ থেকে ?
মূলত , অবেক জায়গাতেই বট বা অশ্বত্থ গাছকে শিবের রূপ হিসাবে মেনে নিয়ে তার আরাধনা করা হয়। তবে শ্রাবণ মাসে রুদ্রাক্ষ গাছের চারা এনে লাগালে তা বহুমুখী ফল দেয়। মূলত ৩৮ মুখ পর্যন্ত একটি রুদ্রাক্ষ থাকে। শিব মহাপূরাণ অনুসারে এই প্রতিটি রুদ্রাক্ষের আলাদা আলাদা গুণ থাকে। আর তার আলাদা আলাদা প্রভাবে একটি সংসার সুখের হতে পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, রুদ্রাক্ষ গাছের গুণ কীকী?
রুদ্রাক্ষ গাছ কেন রোপণ করা যেতে পারে?
রুদ্রাক্ষ গাছ সমস্ত দিক থেকেই বেশ লাভজনক। বহু ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে এই রুদ্রাক্ষ গাছ। মূলত, শিবের রূপে হিন্দু মতে পূজিত হয় এই গাছ। কথিত রয়েছে এই গাছ যেখানে লাগানো হয় ,সেখানেই গড়ে ওঠে সুখ শান্তি। শুধু তাই নয়, শিব হিসাবে দেখা হয় বলে এই গাছ শাস্ত্রী পূজা রীতির দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, এই গাছ যে এলাকায় থাকে সেখানে নেগেটিভ এনার্জি চলে যায়। মানুষের মনে ইতিবাচক ভাবনা আসে। কঠিন লড়াইয়ের মধ্যেও সমস্ত রকমের ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে চলার মতো করে মনের জোর পাওয়া যায়, এই গাছের আশপাশে বসবাস করলে। এছাড়াও আলস্য ও নিরাশা দবর করে দেয় এই গাছ। কোনও কাজ করার উদ্যম যোগায় রুদ্রাক্ষের চারা।
শিবের প্রিয় রুদ্রাক্ষ
শুধু শিবই নন, গণেশের আরাধনাতেও এই রুদ্রাক্ষ বিশেষ কার্যকরী। মেন করা হয় শিবের প্রিয় রুদ্রাক্ষ বাড়িতে এনে রাখলে সেবাড়িতে গণেশের কৃপা বর্ষিত হয়। ফলে সেখানে সুখ সমৃদ্ধি, সম্পত্তি আসে। সৌভাগ্য নিয়ে আসতে ও কোনও কাজে সাফল্য পেতে এই রুদ্রাক্ষের অবস্থান বেশ জরুরি। বাড়িতে এটি থাকলে মানসিক ভারমাস্যও বজায় থাকে। এছাড়াও গণপতি রূপে যেহেতু রুদ্রাক্ষেপ পুজো হয়, তাই কাজে মোক্ষ লাভ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও আসে গৃহস্থের সদস্যদের।
ঘটে যেতে পারে 'মিরাকেল'!
বলা হয়, ঘরে রুদ্রাক্ষ থাকলে ঘটে যেতে পারে বহু ধরনের মিরাকেল। বহু কঠিন সমস্যা খুব অল্প সময়ে সমাধান হয়ে যেতে পারে অই রুদ্রাক্ষেপ বীজ থেকে। ৩৮ রকমের রুদ্রাক্ষের ৩৮ টি বিশেষ গুণ থাকে। আর জ্যোতিষ মতে বলা হয় সেই বিশেষ গুণেই ধন সম্পত্তি থেকে মান সম্মান সহ একাধিক বিষয় ঘরে চলে আসে যদি বাড়িতে রাখা হয় রুদ্রাক্ষ। এছাড়াও বহু দিন ধরে যে বিষয়টির জন্য কেউ লজ়াই করছে তা রুদ্রাক্ষের হাত ধরে আসে ঘরে।
সমস্যার সমাধান
সমস্যার সমাধানে রুদ্রাক্ষের উপস্থিতি কার্যকরী। রুদ্রাক্ষ মানুষের মনে ইতিবাচক প্রভাব খাটায় বলে , মনে করা হয়। কথিত রয়েছে, মহাদেবের চোখের জল থেকে জন্ম হয়েছে রুদ্রাক্ষের। দেবাদিদেবের প্রথম যে অশ্রুবিন্দু তাকে একমুখী রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই ভাবে বিভিন্ন রুদ্রাক্ষের বিভিন্ন নাম হয়েছে। কথিত রয়েছে যে বাড়ির কাছে এই গাছ থাকে, তা সমস্ত সমস্যা বিপদ কাটিয়ে ওঠে।
কেটে যায় দাম্পত্য কলহ থেকে পরীক্ষা ব্যর্থতা
বলা হয়, রুদ্রাক্ষ যাঁর বাড়িতে থাকে, সেই বাড়িতে কোনও মতেই দাম্পত্য কলহ বড় আকার নেয়না। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সুখ সবসময়ই থাকে। গোটা পরিবার সুখ শান্তিতে বেড়ে উঠতে থাকে নিজের মতো করে। এছাড়াও বাড়িতে রুদ্রাক্ষ থাকলে, বহুদিন ধরে পরীক্ষায় কোনও ব্যর্থতা আসলে , সেই ব্যর্থতা কেটে যায়। যাঁদের কোষ্ঠীতে চন্দ্র দুর্বল তাঁরা রুদ্রাক্ষ সঙ্গে রাখলে শত্রু দমন করতে পারবেন।
( তবে রুদ্রাক্ষ ঘরে রাখা বা ধারণ করার আগে যোগ্য জ্যোতিষীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। )