পুরীর জগন্নাথের 'হাতিবেশ'-এর নেপথ্যে রয়েছে কোন কাহিনি ! রথযাত্রা ২০১৯ আবহে অজানা কিছু তথ্য
রথযাত্রা ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজোসাজো রব নীলাচল নগরী পুরীতে। পুরীর জগন্নাথ ধাম ঘিরে একাধিক অলৌকিক কাহিনি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে রথযাত্রা ঘিরেও আকর্ষক কাহিনি।
রথযাত্রা ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজোসাজো রব নীলাচল নগরী পুরীতে। পুরীর জগন্নাথ ধাম ঘিরে একাধিক অলৌকিক কাহিনি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে রথযাত্রা ঘিরেও আকর্ষক কাহিনি। ভক্তদের দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের মহিমার সঙ্গে তুলনায় আসেনা অন্য কোনও কিছুই। তেমনই রথযাত্রা ঘিরেও রয়েছে বেশ কিছু আকর্ষক কাহিনি। এই সমস্ত কাহিনির মধ্যে অন্যতম হল জগন্নাথের বেশ। যা রথযাত্রার আগে 'হাতি বেশ' দিয়ে শুরু হয়। ৩২ টি বেশের মধ্যে রথে 'হাতি বেশ'এর গুরুত্বইবা কী , দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
সাদা বেশ থেকে চন্দন বেশ
জগন্নাথকে পুরীতে সাধারণ দিনগুলিতে যে বেশে দেখা যায়, সেই বেশ পরিচিত সাদা বেশ নামে। এরপর রাতে যে বেশে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রাকে রাখা হয় তার নাম বড়সিংহের বেশ। চন্দনলাগি বেশ শুরু হয় বৈশাখ জৈষ্ঠের সময়, এই সময় ভগবানকে চন্দনের প্রলেপে রাখা হয়। ৪২ দিন ধরে চলে এই উৎসব।
হাতিবেশ
মূলত
এই
বেশ
রথযাত্রার
আগে
স্নান
যাত্রার
সময়
উঠে
আসে।
এই
সময়ে
গণপতির
বেশে
জগন্নাথকে
সাজানো
হয়
বলে
নাম
'হাতি
বেশ'।
গণেশের
বেশে
স্নানযাত্রার
পর
উঠে
আসেন
জগন্নাথ।
এছাড়াও
মাঘ
ও
বসন্তের
শনিবার
ও
বুধবার
জগন্নাথ
ধারণ
করেন
পদ্মবেশ।
হাতি বেশের নেপথ্য কাহিনি
কথিত রয়েছে, বহু শতক আগে পুরীর রাজার রাজদরবারে এসেছিলেন পণ্ডিত গণেশ ভট্ট। রাজা তাঁকে জহগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দেখবার জন্য আহ্বান জানান। তবে তা দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলনা গনেশ ভট্টর। কারণ তাঁর আরাধনার দেবতা গণপতি স্বয়ং। কিন্তু স্নানযাত্রায় গিয়ে গণেশ ভট্ট আবিষ্কার করেন, যে যে বিষ্ণুর অবতার জগন্নাথের স্নান তিনি দেখছেন, তাঁর রূপ যেন হুবহু গণেশ! সমস্ত ঈশ্বর তাঁর কাছে একই মনে হতে লাগল। আর সেই ঘটনার পর থেকেই স্নান যাত্রায় জগন্নাথের বেশ হয় হাতিবেশ।
কালিয়াদলন বেশ
পুরীর
জগন্নাথের
বিভিন্ন
বেশের
মধ্যে
অন্যতম
হল
কালিয়াদলন
বেশ।
ভাদ্র
একাদশীর
দিন
পুরীর
জগন্নাথকে
সাজানো
হয়
এই
বিশেষ
বেশে।
যেভাবে
শ্রীকৃষ্ণ
দুর্দমনীয়
রাক্ষস
কালিয়াকে
হত্যা
করেছিলেন,
সেই
বেশেই
এদিন
সাজানো
হয়
জগন্নাথকে।