পুরীর জগন্নাথের রথ ঘিরে কিছু অজানা রহস্যময় তথ্য !দেখে নিন একনজরে
রথ যখন নীলাচল নগরী ধরে এগিয়ে যায়, তখন হাজর হাজার ভক্ত সেই রথের রশি ছুঁয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। কথিত রয়েছে , পুরীর রথযাত্রায় যিনি একবার রথের রশি ছুঁয়ে নেন, তাঁর সমস্ত ইচ্ছা পুরণ হয়।
রথ যখন নীলাচল নগরী ধরে এগিয়ে যায়, তখন হাজর হাজার ভক্ত সেই রথের রশি ছুঁয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। কথিত রয়েছে , পুরীর রথযাত্রায় যিনি একবার রথের রশি ছুঁয়ে নেন, তাঁর সমস্ত ইচ্ছা পুরণ হয়। আর সেই থেকে রথের দড়ি ছোঁয়া ও টানবার পরম্পরা চালু হয়েছে। পুরীতে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলভদ্রের রথযাত্রা ঘিরে একাধিক রহস্যময় তথ্য় উঠে আসছে।
রথের চাকার সংখ্যা
তিনটি আলাদা রথে চড়ে সওয়ারহন পুরীর জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা। এই তিনটি আলাদা রথের আলাদা আলারা নাম রয়েছে। জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ, বলরামের রথ তলধ্বজা, সুভদ্রার রথের নাম পদ্মধ্বজা। জগন্নাথদেবের যে রথটি , তাতে চাকার সংখ্যা ১৮ টি, বলরামের রথে চাকার সংখ্যা ১৬ টি, সুভদ্রার রথে চাকার সংখ্যা ১৪ টি।
প্রতিবছর নতুন রথ!
প্রতিটি বছরে নতুন করে তৈরি হয় রথ। এই রথযাত্রায় ৪ টি কাঠের ঘোড়াকে সংযুক্ত করা হয় প্রতিটি রথের সঙ্গে। কাঠের ঘোড়ার প্রতিকৃতি সংযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুতেই রওনা হয়না নতুন রথ।
চাঁদোয়া তৈরির তথ্য
১২০০ মিটার কাপড় দিয়ে তৈরি হয় রথযাত্রার চাঁদোয়া। আর এই চাঁদোয়া তৈরি করার প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ১৫ জন দরজি।
দারুব্রহ্ম দিয়ে তৈরি মূর্তি
পুরীতে যে প্রতিমা তৈরি হয় , তা বৃহৎ সংহিতা অনুযায়ী বিশেষ একধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। যে পদার্থ অনেকদিন ধরে থাকবে তাই দিয়েই মূর্তি তৈরির নির্দেশ রয়েছে বৃহৎ সংহিতায়। আর সেই অনুযায়ী সংহিতায় উল্লিখিত রয়েছে দারুব্রহ্ম গাছের নাম। দারুব্রহ্ম অর্থাৎ নিমগাছ। আর এই গাছের কাঠ বহুদিন ধরে অক্ষত থাকে বলে, সেই কাঠ দিয়েই গড়ার হয় প্রতিমা।
[আরও পড়ুন:পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে কোন কোন রহস্য বছরের পর বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে!]