২৩০০ বছর ধরে সাঁচী স্তূপে চিত্রিত গজলক্ষ্মী দেবী একই রূপে পূজিতা হন ওড়িশায়
ধনতেরসের সময় গজলক্ষ্মী দেবী পূজিতা হন। মূলত এই উৎসব অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের নিয়ে হয়। এটি ওড়িশায় খুব বিখ্যাত। এই পূজাকে কুমার পূজাও বলা হয়। এদিন মূলত সূর্য ও চন্দ্রকে পুজো করা হয়। সকালে উঠে অবিবাহিত মহিলারা স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরে নেন। পরে পুজো সেরে নানা উপাদেয় ভোজ নিজে হাতে রান্না করেন।

অনেক জায়গায় মেয়েরা নেচে-গেয়ে এই দিনটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন। সন্ধ্যায় চাঁদের পুজো করে তবে সারাদিনের উপোস ভেঙে ভালোমন্দ খাওয়া হয়।
গজলক্ষ্মী হলেন দেবী লক্ষ্মীরই আর একটি রূপ। তিনি সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী। এটি ছাড়াও দেবী লক্ষ্মীর আরও সাতটি রূপ রয়েছে। মহালক্ষ্মী বা আদি লক্ষ্মী, ধান্য লক্ষ্মী, সন্তানলক্ষ্মী, বীরলক্ষ্মী, বিদ্যালক্ষ্মী ও বিজয়লক্ষ্মী বা জয়লক্ষ্মী।
এর থেকেই বোঝা যায় দেবী লক্ষ্মী শুধু ধনসম্পদের দেবীই নন, তিনি সব ধরনের ক্ষেত্রেই অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সর্বত্র তাঁর বিচরণ। এর মধ্যে গজলক্ষ্মী কল্প এমন এক অনুষঙ্গে ব্যবহৃত হয় যেখানে মানুষ সমৃদ্ধির চূড়ায় পৌঁছয়। ওড়িশার ঢেনকানলে গজলক্ষ্মীর আরাধনা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।