বিয়ে–কাজে প্রতিবন্ধকতা? হলুদ দিয়ে করুন এই প্রতিকারগুলি, ফল মিলবে শীঘ্রই
হলুদের গুণ প্রচুর। হলুদ যে শুধু রান্না করার কাজে লাগে তাই নয় বরং রোগ নিরাময় করতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক শুভ কাজেই হলুদের ব্যবহার অপরিহার্য। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর খুবই প্রিয় হল এই হলুদ। হলুদের সঙ্গে যুক্ত একাধিক উপায়ও বেশ প্রচলিত। যেগুলি প্রয়োগ করলে মানুষের ভাগ্য চমকাতে দেরি লাগে না। আসুন সেরকমই কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।
খারাপ স্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
যদি আপনি রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন তবে আপনি হলুদের এই প্রতিকার করতে পারেন। আপনি হলুদের একটি গাঁটে মৌলী বেঁধে দিন। এরপর ওটা নিজের মাথার কাছে রেখে শুয়ে পড়ুন। কথিত আছে যে এটা করলে খারাপ স্বপ্ন আসা বন্ধ হয়ে যায় এবং ভালো ঘুমও হয়।
আটকে থাকা কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়
যদি কোনও কাজ আটকে থাকে তবে আপনি একটু চাল নিয়ে তাতে হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর ওই চালগুলিকে লাল কাপড়ে বেঁধে নিজের পার্সে রেখে দিন। বলা হয় যে এই উপায় করলে আটকে থাকা টাকা বা অর্থ শীঘ্রই পাওয়া যায়।
বিয়ের সমস্যা দূর হয়ে যায়
অনেক প্রচেষ্টার পরও বিয়েতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাকা কথা হওয়ার আগেই যদি কোনওভাবে তা ভেস্তে যায় তাহলে মা লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর সামনে রোজ এক চুটকি করে হলুদ অর্পণ করুন। এর সঙ্গে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার করে ছোলার ডাল ও হলুদ দান করুন। কথিত আছে যে এই উপায়ে আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং বিয়েতে আসা বাধা দূর হয়ে যাবে।
কাঙ্খিত কাজে সফলতা পাওয়া যায়
যদি আপনি কোনও কাজ কঠোর পরিশ্রম দিয়ে করছেন অথচ সফলতা পাচ্ছেন না তাহলে হলুদের এই প্রতিকার করতে পারেন। আপনি বুধবার করে গোটা হলুদের গাঁটের মালা অর্পণ করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এরকম করলে গণপতি প্রসন্ন হন এবং কাজের সফলতার সামনে আসা সকল বাঁধা দূর করে দেন।
শুভ কাজ সম্পন্ন হয়
আপনি যদি কোনও শুভ কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন এবং এর সাফল্য সম্পর্কে আপনার যদি কিছুটা দ্বিধা থাকে, তবে আপনি গণেশজিকে হলুদের টিকা দিয়ে আশীর্বাদ নিন। এর পরে, একই হলুদ দিয়ে আপনার কপালে তিলক লাগান। কথিত আছে যে এটি করলে শুভ ফল পাওয়া যায় এবং আপনি যে কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছেন তাতে সাফল্য পাবেন।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
মা দুর্গাকে কেন সিঁদুর দেওয়া হয়? জানুন ৪৫০ বছরের পুরনো এই প্রথার পিছনে থাকা কারণ