নতুন বছরে সব সমস্যা, দুঃখ–কষ্ট দূর হয়ে যাবে যদি প্রতিদিন এই কাজটি নিয়ম করে করেন
হনুমান চল্লিসা পড়ার উপকারিতা
২০২১ সাল প্রায় শেষের মুখে। নতুন বছর ২০২২ সাল আমাদের সকলের কেমন যাবে তা কেউই জানি না। জ্যোতিষীরা রাশি অনুযায়ী অনুমান করেন ঠিকই, তাও আমাদের আশঙ্কা থেকে যায়। কোনও ব্যক্তির জ্যোতিষ অশুভ হলে তার প্রভাব তাঁর জীবনের ওপর পড়তে পারে। জন্মছকে থাকা গ্রহের অশুভ দশা ব্যক্তির জীবন উথাল–পাথাল করে দেয়। সেই ব্যক্তি রোগ, দুঃখ এবং ঝামেলা দ্বারা বেষ্টিত হয়ে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে নিয়মিত হনুমান জির পুজো করা উচিত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান জির তাঁর ভক্তদের উপর কোনও খারাপ প্রভাব নেই। কথিত আছে যে হনুমান জি কলিযুগে খুবই জাগ্রত দেবতা।
অমর থাকার বর দিয়েছিলেন সীতা মা
পুরাণে কথিত আছে সীতা মা হনুমান জিকে অমর থাকার বর দিয়েছিলেন। কথিত আছে যে হনুমান জিকে খুশি করা খুব সহজ। হনুমান জির আশীর্বাদ পেতে হলে নিয়মিত ভগবান শ্রী রাম ও সীতা মায়ের নাম জপ করতে হবে। এর পাশাপাশি হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন (হনুমান জির পথ)। কথিত আছে যদি কেউ হনুমান চল্লিসা নিয়মিত পাঠ করেন তবে সেই মানুষের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়।
কষ্ট–দুঃখ দূর করে হনুমান জি
শাস্ত্রে বলে হনুমান চল্লিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকালীন তুলসী দাসের কোনও কষ্টই হয়নি। তাই তো বলা হয় জীবন থেকে কষ্টের চিহ্ন মেটাতে এই বইয়ের স্মরণাপন্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, একথা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে প্রতি শনিবার সকালবেলা স্নান সেরে যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে সব ধরনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মেলে আরও নানান উপকার।
নেতিবাচক শক্তি দূর হয়
দুষ্ট, অতৃপ্ত আত্মা, নেতিবাচক বা নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে যায় হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে ৷ জীবনে অপার শান্তি বিরাজ করে ৷ শনির সাড়ে সাতি চলাকালীন অনেকেরই একের পর এক বিপদ আসতে থাকে ৷ এ অবস্থায় আপনাকে বাঁচাতে পারে একমাত্র হনুমান চল্লিশাই। রোজ নিয়ম করে পাঠ করলে বা উচ্চারণ করলে সাড়ে সাতির প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে ৷
দুঃস্বপ্ন থেকে রেহাই
রাতে অনেকেরই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায় ৷ আসলে মনের গভীরে ভয় থেকেই এটা হয় ৷ হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে দুঃস্বপ্ন আসে না ৷ বরং স্বপ্নে ঈশ্বর দর্শনও হতে পারে ৷ অতীতের কোনও খারাপ স্মৃতি অনেককেই তাড়া করে বেড়ায় ৷ এ ক্ষেত্রে মুক্তির উপায় হনুমান চল্লিশা পাঠ।
কর্মক্ষেত্রে সফলতা
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চল্লিশা পাঠ করার মধ্যে দিয়ে যদি নিয়মিত শ্রী হনুমানের আরাধনা করা যায়, তাহলে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।
মনের জোর বাড়ে
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবারের পাশাপাশি প্রতিদিন যদি হনুমান চল্লিশা পাঠ করা যায়, তাহলে চারিপাশে পজিটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে মনের জোর বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবনের পথে চলতে চলতে যতই বাধা আসুক না কেন, তা এড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কোনও কষ্টই হয় না।
বাধা কেটে যায়
কথায় বলে জীবনে যত বাধা আসে, তত মানুষ হিসেবে আমাদের উন্নতি ঘটে। কিন্তু কখনও কখনও এমন বাধা আসে যে সে সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে হনুমান চল্লিশা পড়া যদি শুরু করতে পারেন, তাহলে বাধার পাহাড় সরতে সময়ই লাগে না। তাই যদি কোনও সমস্যায় বহুদিন ধরে ফেঁসে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হনুমান চল্লিশা পড়া শুরু করুন। দেখবেন হাতে-নাতে ফল পাবেন।