নবরাত্রি ২০২০: তৃতীয়াতে দেবী চন্দ্রঘণ্টার পুজোর আচার, মাহাত্ম্য, পৌরাণিক কাহিনি একনজরে
শাস্ত্র মতে বলা হয়, দুর্ভোগ কাটাতে দেবী চন্দ্রণঘণ্টার পুজো সম্পন্ন হয় তৃতীয়াতে। দুর্গা পুজোর মাঝেই নবরাত্রি উপলক্ষ্যে তৃতীয়াতে মা চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করা হয়। মায়ের আরাধনা বিভিন্ন আচার ও রীতি মেনে সম্পন্ন হয়।

চন্দ্রঘণ্টার রূপ
দুর্গাপুজোর তৃতীয়ার দিন হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করা হয় নবদুর্গার পুজোয়। মায়ের এই রূপে দেখা যায়, দেবীর হাতে অর্ধচন্দ্রের আকারের ঘণ্টা । আর সেই অর্ধচন্দ্রাকৃতি ঘণ্টা থেকেই এই নামের উৎপত্তি। অনেকে দেবীর এই রূপকে চন্দ্রিকা নামেও ব্যাখ্যা করেন। বলা হয়, চন্দ্রিকা রূপে দেবীর তৃতীয় নয়ন সর্বদা খোলা থাকে। যা দুরাত্মা, অসুরের বিরুদ্ধে সদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত করে।

শিব পার্বতীর বিবাহ ও চন্দ্রণঘণ্টার আবির্ভাব
শাস্ত্রে কথিত রয়েছে , দেবী পার্বতীকে শিব জানিয়েছিলেন যে তিনি কোনও দিনই বিবাহে আগ্রহী নন। এমন সময় দেবী পার্বতীর দুঃখ-কষ্ট দেখে শিব নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি। পাবর্তীকে বিয়ে করতে চেয়ে শিব নিজের সঙ্গী নন্দী -ভ্রিঙ্গি সহ বহু প্রেতকে নিয়ে হিমালয়রাজ হিমবানের প্রাসাদের সামনে হাজির হন। হিমবান-কন্যা পার্বতী তখন চঞ্চলা হয়ে ওঠেন। কারণ, হিমবান শিবকে পছন্দ করতেন না। এমন সময় শিব হিমবানের প্রাসাদ আক্রমণে উদ্যত হলে, পার্বতী চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করে শিবকে প্রতিহত করেন। দেবী তখন রক্ষা করেন নিজের কূল,পরিবার। পাশাপাশি, শিবকে সুন্দর বেশে সেজে এসে তাঁর বাবা হিমবানের কাছে পাণি-প্রার্থনার পরামর্শ দেন পাবর্তী।

কেন করা হয় দেবীর আরাধনা?
দেবী চন্দ্রঘণ্টা মূলত, সংহার রূপী । তাই জীবনকে দুর্বলতা যদি গ্রাস করে , মুক্তির পথ হিসাবে দেবী চন্দর্ঘণ্টার পুজো করার পরামর্শ দেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এই পুজোর ফলে মানসিক যন্ত্রণা কেটে যায় ।

চন্দ্রঘণ্টার পুজোর আচার, ভোগ
কথিত রয়েছে ক্ষীরের জিনিস মা চন্দ্রঘণ্টাকে সন্তুষ্ট করে। এই ক্ষীরের ভোগই মাকে তৃতীয়ার দিন অর্পণ করা হয়। এছাড়াও মাখন ও ক্ষীর দিয়ে মাকে তুষ্ট করা হয়।

কোন পোশাকে দেবীর আরাধনা করেন ভক্তরা?
দেবী চন্দ্রঘণ্টার পুজো সম্পন্ন হয় নবদুর্গার পুজোর তৃতীয় দিনে। সেই দিন সুবজ পোশাকে মায়ের আরাধনা করলে জীবনে শান্তি নেমে আসে বলে শাস্ত্রজ্ঞরা বার্তা দেন।
নবরাত্রি ২০২০: অষ্টমীতে দেবী মহা গৌরীর পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে