নবরাত্রি ২০২০: প্রথম দিন দেবী শৈলপুত্রীর পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে
নবরাত্রি ২০২০: প্রথম দিন দেবী শৈলপুত্রীর পুজোর মাহাত্ম্য, আচার, রীতি একনজরে
কথিত রয়েছে নবদুর্গার পুজোয় দেবীর প্রতিটি রূপের নামকরণ করেছিলেন পিতামহ ব্রহ্মা। সেই থেকেই নবরাত্রির ৯ দিনের মধ্যে প্রতি দিন দেবীকে আলাদা আলাদা রূপে পুজো করা হয়। এই চিরাচরিত রীতি রামচন্দ্রের দুর্গাপুজোর অকাল বোধন থেকে শুরু হয়েছে। নবদুর্গার পুজোর প্রথম রূপটি হল দেবী শৈলপুত্রী। দেখে নেওয়া যাক, এই দেবীর পুজোর মাহাত্ম্য , গুরুত্ব ও আচার, রীতি কীরকম!
প্রথমায় দেবী শৈলপুত্রীর পুজো
রথমার দিন দেবী শৈলপুত্রীকে পুজো করা হয়। দুর্গা যেন সেদিন শৈলপুত্রী বেশে ধরা দেন। পর্বত কন্যা রূপে পূজিতা দুর্গার এই রূপের অংশ ত্রিশূল। এই রূপে ডান হাতে পদ্ম আর বাম হাতে থাকে ত্রিশূল।
পুরাণের কথা
শাস্ত্রে কথিত রয়েছে, শৈলপুত্রী রূপ ধারণ করে হিমালয়ের কন্যা রূপে দেবী দুর্গা নিজেকে পিতার কাছে ধরা দেন। তা রপর থেকেই দেবীর এই রূপ শৈলপুত্রী হিসাবে খ্যাত।
প্রচলিত কাহিনী
কথিত রয়েছে, একবার বিশাল যজ্ঞ আয়োজন করেন প্রজাপতি দক্ষ। কিন্তু সেই যজ্ঞের সমারোহে তাবড় রাজাদের আমন্ত্রণ করলেও, জামাতা শিবকে তিনি আমন্ত্রণ করেননি । সেই সময় যজ্ঞভূমিতে দেহত্যাগ করেন দক্ষ কন্যা পার্বতী। দেবত্যাগের পর তিনি হিমালয়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন। সেই থেকেই পার্বতীর অপর নাম শৈলপুত্রী।
দেবীর শৈলপুত্রী রূপ
দেবীর এই বিশেষ রূপে এখানে দেবীর বাহন বৃষ। এই বিশেষ রূপটিতে দেবীর দুটি হাত। বাম হাতে রয়েছে পদ্ম, ও ডান হাতে ত্রিশূল। মা যেন এখানে একই সঙ্গে সুন্দরের উপাসক ও হিংস্রের দমনকারী দেবী রূপে উঠে এসেছেন।
মায়ের পুজোয় কোন ভোগ?
প্রথমার দিন নবদুর্গা পুজোয় মা শৈলপুত্রীকে পুজো করা হয়। সেদিন মাকে আলুর হালুয়া, রাজগিরা লাড্ডু, আর সাবুদানার খিচুড়ি ভোগে রাখা হয় নবদুর্গার পুজোয়।
দুর্গাপুজোর মধ্যে নতুন বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে কী কী নিয়ম পালনীয়