অর্থ থেকে জীবনের সব সমস্যার সমাধান করতে হোলিকা দহনে করুন এই প্রতিকারগুলি
অর্থ থেকে জীবনের সব সমস্যার সমাধান করতে হোলিকা দহনে করুন এই প্রতিকারগুলি
হিন্দুদের প্রসিদ্ধ উৎসবের মধ্যে হোলি বা দোল উৎসব অন্যতম। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমার সময় ছোট হোলি পালন করা হয়। ছোট হেলির দিনই হোলিকা দহন হয়। আর বড় হোলি ডৈত্র মাসের প্রতিপদ তিথিতে পালন করা হয়। এ বছর ১৭ মাচ্চ হোলিকা দহন করা হবে এবং ১৮ মার্চ রঙের উৎসব দোল বা হোলি পালন করা হবে। এই হোলি কে অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির জয় বলে মানা হয়ে থাকে।
হোলিকা দহনের দিন প্রতিকার
হোলির উৎসবের ধার্মিক মাহাত্ম্য রয়েছে। পুজো-পাঠের হিসাবে এইদিন খুবই শুভ বলে বিশ্বাস করা হয়। মানা হয় যে হোলির দিন যদি কোনও জ্যোতিষ উপায় করা হয়, তো সব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই হোলির দিন চাকরি ও ব্যবসার উন্নতির জন্য করা কিছু উপায়ের বিষয়ে। হোলিকার দিন এই প্রতিকারগুলি করুন।
অসুস্থ ব্যক্তি যদি সুস্থ না হন
যে ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, তাঁদের জন্য হোলিকা দহনের দিনে এই প্রতিকারটি অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। একটি না কাটা পান, লাল গোলাপ এবং করলা নিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে ৩১ বার ঘুরিয়ে রাস্তার মোড়ে রাখুন। তবে গোপনীয়তার সাথে এই ব্যবস্থাগুলি করুন। এটি করার সময় কেউ আপনাকে দেখতে পাবে না। এতে করে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়।
কোনও সমস্যা যদি শেষ না হতে চায়
অনেক সময়ই ব্যক্তির জীবনে এক সমস্যা শেষ না হওয়ার মধ্যেই দ্বিতীয় সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি হোলির দিন রাতে ঘরের মুখ্য প্রবেশদ্বারে সর্ষের তেল দিয়ে চারমুখী প্রদীপ জ্বালান। আর ভগবানের কাছে সব সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রার্থনা করুন। এই প্রতিকারটি করলে লাভ পাওয়া যাবে।
অযথা খরচ কমাতে
কোনও না কোনও কারণে অর্থ জলের মতো ব্যয় হয়ে যাচ্ছে এবং ফালতু খরচ থামার নাম নিচ্ছে না, তাহলে হোলির দিন ঘরের প্রধান দরজায় আবীর ছড়িয়ে দিন। আর দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালান, এতে অর্থ সঙ্কট বন্ধ হবে। প্রদীপ নিভে গেলে এই প্রদীপকে হোলিকা দহনের আগুনে ফেলে দিন।
অর্থ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় হোলির দিন নারায়ণ ও মা লক্ষ্মীর মন্দিরে গিয়ে যথাযথভাবে পুজো করুন। এই দিনে সহস্রনাম পাঠ করুন। ঈশ্বরের সামনে আপনার সমস্যা রাখুন এবং তা দূর করার জন্য প্রার্থনা করুন। এরপর সামর্থ্য অনুযায়ী গরীব ও পশুদের দান করুন।