১৪ জানুয়ারি নয়, ২০৭৭ সাল থেকে এই দিনে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি
২০৭৭ সাল থেকে এই দিনে পালিত হবে মকর সংক্রান্তি
শুক্রবার মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করেছে। যদিও সূর্যের রাশি বদলানোর সময় নিয়ে মতভেদ দেখা গিয়েছে। সেই কারণে কিছু জায়গায় ১৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পালন করা হবে। সূর্যের রাশি পরিবর্তন করা থেকে সংক্রান্তি কবে পালন হবে তা নির্ণয় করা হয়। এই কারণে এই উৎসবের তারিখে বদল দেখা যায়। এই কারণে ২০৭৭ সালে মকর সংক্রান্তি ১৪ নয় বরং ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি পালন করা হবে।
মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি পালন করা ঠিক
জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত রাষ্ট্রীয় পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করেছে ১৪ জানুয়ারী দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে। তাই স্নান ও দানের এই উৎসব শুক্রবারই পালিত হওয়া উচিত। একই সময়ে, বেনারস, উজ্জ্বয়িনি এবং অন্যান্য শহরের পঞ্জিকা অনুসারে, ১৪ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় সূর্য তার রাশি পরিবর্তন করবে। এ কারণে কেউ কেউ ১৫ তারিখে স্নান-দান ও পুজো করবেন। জ্যোতিষীরা বলছেন যে ঐতিহ্য অনুসরণ করে, স্থানীয় পঞ্জিকা অনুসারে, এই উৎসবটি উভয় দিনেই পালিত হতে পারে।
প্রত্যেক বছর ২০ মিনিট দেরি করে মকরে প্রবেশ করে সূর্য
পুরীর জ্যোতিষী ডাঃ গণেশ মিশ্র বলেছেন যে সূর্য প্রতি বছর ২০ মিনিট দেরি করে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এভাবে প্রতি তিন বছর পর এক ঘণ্টা পর এবং ৭২ বছরে একদিন দেরি করে মকর সংক্রান্তি উৎসব হয়। এই গণিত অনুসারে, প্রায় ১৭০০ বছর আগে, ২১ ডিসেম্বর মকর সংক্রান্তি পালিত হয়েছিল। এখন ২০৭৭ সাল থেকে, মকর সংক্রান্তি শুধুমাত্র ১৫ জানুয়ারি পালন হবে।
পুণ্য স্নানের মাহাত্ম্য
সাগর সঙ্গমে পুণ্য স্নানের মাহাত্ম্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেই জানেন। পৌরাণিক গল্প বলে, অযোধ্যার ঈক্ষাকু বংশের রাজা সাগরের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া চুরি করেন দেবরাজ ইন্দ্র। তিনি ঘোড়াগুলি গঙ্গাসাগরে কপিল মুনি আশ্রমের পেছনে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ঘোড়া খুঁজতে গিয়েই কপিল মুনির রোষে পড়ে ভস্মীভূত হয়েছিলেন সাগর রাজের ষাট হাজার জন ছেলে। বিশ্বাস করা হয়, তাঁদের উদ্ধার করতেই সাগরের নাতি ভগীরথ কপিল মুনির নির্দেশ মতো স্বর্গ থেকে গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে আসেন।গঙ্গা শিবের জটা থেকে বেরিয়ে পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছেছিল। মিলেছিল সাগরে। সেই দিন ছিল মকর সংক্রান্তি। তাই মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা এবং সাগরের সঙ্গমে স্নান করলে অসীম পুণ্যের কথা বর্ণিত হয়েছে পুরাণে ৷
পুণ্যস্নান ও দান
স্নান এবং দান এই উৎসবের প্রধান কর্তব্য। যিনি সাগরে স্নান করতে যেতে পারবেন না তিনি যে কোনও জলাশয়ে সাগরকে স্মরণ করে স্নান করবেন ৷ এমনটাও বলে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এদিন তিল, গুড় ও খিচুড়ি দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। খিচুড়ি খাওয়াও এদিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করেন জ্যোতিষিরা।