চন্দ্রগ্রহণ ২০২০: কিছু পৌরাণিক বিশ্বাস কী কারণে আজও প্রচলিত! নেপথ্যে কোন ঘটনা
চন্দ্রগ্রহণ ২০২০: কিছু পৌরাণিক বিশ্বাস কী কারণে আজও প্রচলিত! নেপথ্যে কোন ঘটনা
চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণ ঘিরে জুন ও জুলাই মাস থেকে একাধিক মহাজাগতিক ঘটনা আসতে চলেছে । ৫ জুন চন্দ্রগ্রহণের পর রয়েছে আরও এক সূর্যগ্রহণ। এদিকে, এই সমস্ত গ্রহণ ঘিরে একাধিক পৌরাণিক বিশ্বাস ও ভাবনা প্রচলিত রয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন 'কারণ' থেকে এই সমস্ত বিশ্বাস আজও প্রচলিত।
থালা, বাটি বাজানো
বহু দেশেই গ্রহণের সময় থালাবাটি বাজানোর রীতি পালিত হয়। সূর্য হোক বা চন্দ্র গ্রহণ, বহু দেশেই বাসন বাজানো হয়ে ছাকে গ্রহণকালে। মূলত মনে করা হয়, কোনও মহাজাগতিক রাক্ষস বা পশু এসে সেই সময় চাঁদ বা সূর্যকে গ্রাস করে। আর যাতে তা না করে তার জন্যই অনেক দেশে এমন থালা বাটি বাজানো হয়।
জল গ্রহণ হয়না কেন?
মনে করা হয়, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় আলোর উৎস ঢাকা পড়ে যায় বিশ্বে। বহু জনজাতিতেই এই আদিম ধারণা প্রচলিত। ফলে আলো বিশ্বে না আসায়, মনে করা হয় যে , বিশ্বে বহু জিনিসেই বিষ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গ্রহণের সয় জল গ্রহণ করা হয়না।
কেটে গেলে..
চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি শরীরের কোনও অংশে কিছু কেটে যায়, তাহলে গ্রহণকালে তা ঠিক হয় না বলেও বহু জনজাতিচে পুরনো ধারনা রয়েছে। গ্রহণের সময় কেটে গেলে তার প্রভাব বহুদিন ধরে থাকে বলে মনে করা হয়।
পাপ মুক্ত হয়
এমন বহু উপজাতি রয়েছে বিশ্বে যেখানে মনে করা হয়, চন্দ্রগ্রহণে পাপ ধুয়ে যায়। সেই সমস জীবনের কালিমাময় অধ্যায় ও খারাপ জিনিসগুলি ধুয়ে চলে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
গর্ভবতী মহিলা
গর্ভবতী মহিলাদের এই সময় বাইরে যেতে বারণ করা হয়। মনে করা হয় এতে ভ্রূণের ক্ষতি হয়ে যায়। এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের ধারালো কিছু ছুঁতে বারণ করা হয়.। বহু জনজাতির বিশ্বাস যে এটি করলে সন্তানের ক্ষতি করেন বসেন মায়েরা।
চন্দ্রগ্রহণ ২০২০: কিছু পৌরাণিক বিশ্বাস কী কারণে আজও প্রচলিত! নেপথ্যে কোন ঘটনা