৩০ নভেম্বর চন্দ্রগ্রহণ কার্তিক পূর্ণিমায়! বিশেষ তাৎপর্য একনজরে
২০২০ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ আসন্ন। ৩০ নভেম্বরের এই চন্দ্রগ্রহণ ঘিরে রীতিমোত কৌতূহল রয়েছে মানুষের মনে। জ্যোতরির্বিজ্ঞানী থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ সকলের কাছেই এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ঘিরে কৌতূহল জমতে শুরু করেছে। এই গ্রহণ এবার পূর্ণিমার তিথিতে পড়েছে । একনজরে দেখা যাক গ্রহণ ঘিরে কিছু তথ্য।

কার্তিক পূর্ণিমা তিথি
৩০ নভেম্বর পড়েছে কার্তিক পূর্ণিমা। মূলত ২৯ নভেম্বর থেকেই কার্তিক পূর্ণিমার তিথি পড়তে শুরু করছে। ২৯ নভেম্বর বেলা ১২:৪৭ মিনিট থেকে ৩০ নভেম্বর দুপুর ২:৫৯ মিনিটে পড়ছে কার্তিক পূর্ণিমা।

কার্তিক পূর্ণিমার মাহাত্ম্য
কথিত রয়েছে,কার্তিক পূর্ণিমার দিনে তিনটি অসুরকে একসঙ্গে বধ করেন শিব। মহাদেব রুদ্র মূর্তি ধারণ করে ত্রিুপুরাসুরকে বধ করেন। তারপর থেকেই তাঁর নাম ত্রিপুরারি হয়।

কার্তিক পূর্ণিমা কেন কাশিতে পালিত হয়?
মূলত শিবের জয়কে উদযাপন করে কার্তিক পূর্ণিমার দিন কাশীতে বড়সড়ভাবে পুজো পার্বন করা হয়। সেদিন কাশীতে দেবদীপাবলী পালিত হয়। গঙ্গায় ভাষাণো হয় বহু প্রদীপ।

২০২০ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ
২০২০ সালের চন্দ্রগ্রহণও পড়েছে ৩০ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমার দিন। পূর্ণিমা তিথি ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। এদিকে, গ্রহণ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর দুপুর ১:০৪ মিনিট থেকে চলবে বিকেল ৫:২২ মিনিট পর্যন্ত। প্রসঙ্গত,সেদিন ভারতীয় সময় দুপুরে এঅই গ্রহণ সংগঠিত হওয়ায়, তা ভারত থেকে দেখা না গেলেও, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকার বহু জায়গা থেকে দেখা যাবে।

কার্তিক পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, তাৎপর্য
প্রসঙ্গত, শাস্ত্র অনুসারে কার্তিক পূর্ণিমাতে অসুর বধ হয়েছে শিবের হাতে। আর কথিত রয়েছে, গ্রহণ মানেই চন্দ্র, সূর্যের রাহুগ্রাস। ফলে ফলে যেদিন অসুরবধ উদাপন হচ্ছে, সেদিন রাহুগ্রাস সম্পন্ন হওয়ার ঘটনা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।
