কৌশিকী অমাবস্যা ২০২১-এর দিন, ক্ষণ, তিথি একনজরে
কৌশিকী অমাবস্যা ২০২১-এর দিন, ক্ষণ, তিথি একনজরে
তন্ত্র ও শাস্ত্র মত অনুযায়ী কৌশিকী অমবস্যার গুরুত্ব অন্যান্য সমস্ত অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা থাকে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রীতি নীতি মেনে এই অমাবস্যার পুজো করা হয়। মা কালীকে এই অমাবস্যা তিথিতে বিশেষভাবে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে পুজো করা হয়। মূলত, এই কৌশিকী অমাবস্যা ঘিরে বহু ঘটনার কথা শোনা যায়।
গুপ্ত সাধনায় মেলে আশাতীত ফল
কথিত রয়েছে কৌশিকী অমাবস্যায় বিভিন্ন তন্ত্র ও গুপ্ত সাধনা করলে, মেলে আশাতীত ফলাফল। এছাড়া বৌদ্ধ মতেও এই দিনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। অনেকেই এই কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে 'তারা রাত্রি' বলে থাকেন। বলা হয়, তন্ত্রের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক শক্তি দিয়ে এই রাতে সাধক চাইলে স্বর্গ ও নরক যেকোনও দিকেই যেতে পারেন। তবে তা নির্ভর করে তাঁর সাধনার ওপর।
কৌশিকী অমাবস্যার কাহিনি
শাস্ত্র মতে, পুরাকালে একবার একবার কঠিন সাধনা শক্তিতে ব্রহ্মাকে তুষ্ট করেন অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ। ব্রহ্মা তুষ্ট হতেই তাঁদের বর দেন। তিনি বলেন, জগতে কোনও পুরুষ তাঁদের বধ করতে পারেবন না। কোনও অ-যোনি থেকে বিমূর্ত হওয়া নারীশক্তির হাতেই শেষ হবে শুম্ভ নিশুম্ভ। যে নারী মাতৃ গর্ভ থেকে দন্ম নেননি , তিনিই দমন করতে পারবেন এই দুই অসুরকে।
এরপর কী ঘটে?
এদিকে, সতী রূপে পার্বতীর আত্মাহুতির পর তিনি কালো বর্মে কালিকা রূপ ধারণ করেন। অন্যদিকে অসুর শুম্ভ নিশুম্ভের সংহারে ত্রস্ত তখন ধরনী। এই অবস্থায় স্বয়ং শিব , তখন পার্বতীকে বলেন এই অসুরদের হত্যা করার। তখনই কালিকা তাঁর শক্তি নিয়ে শুম্ভ নিশুম্ভকে দমন করতে উদ্যত হন। সেই সময় মানস সরোবরে দেহের সমস্ত কালো ধুয়ে দেবী কৃষ্ণবর্ণ নিয়ে কৌশিকী রূপে অবতীর্ণ হন। আর শুম্ভ নিশুম্ভকে বিনাশ করেন।
২০২১ কৌশিকী অমাবস্যার দিনক্ষণ
২০২১ সালে কৌশিকী অমাবস্যা ৬ সেপ্টেম্বর পড়েছে। মূলত , বাংলা সময় ২১ ভাদ্র ১৪২৮ সালে এই দিনক্ষণ পড়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার মূল তিথি ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৭:০৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালের সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে ছাড়বে এই অমাবস্যা।
{quiz_662}