জন্মাষ্টমীতে জ্যোতিষমতে পালন করুন এই কয়েকটি বিধি, বৃদ্ধি পাবে সম্পত্তি, কাটবে বেকারত্ব
জন্মাষ্টমীতে জ্যোতিষমতে পালন করুন এই কয়েকটি বিধি, বৃদ্ধি পাবে সম্পত্তি, কাটবে বেকারত্ব
প্রতি বছরের মতো করে এই বছরেও কৃষ্ণা জন্মাষ্টমী ধুমধাম সহকারে পালিত হতে চলেছে। গোপালকে তাঁর পছন্দের মতো রেঁধে বেড়ে খাওয়ানোর জন্য ঘরে ঘরে আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের পছন্দের পদ ঘরে রান্না করে তাঁকে জন্মাষ্টমীর পুজোতে অর্পণ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই বছর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ৩০ অগাস্ট পালিত হবে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক, বিভিন্ন সমস্যা , ত্রুটি কাটতে জন্মাষ্টমীর দিন কী কী করণীয়। দেখে নেওয়া যাক জ্যোতিষ মতে টিপস।
জন্মাষ্টমী জ্যোতিষ
জ্যোতিষ মতে, সারা বছরে এমন কিছু সময় রয়েছে, যখন বিশেষ বিশেষ কিছু 'ক্ষণে' পালিত হয় কিছু নির্দিষ্ট বিধি। এই সময়ে কয়েকটি ঘরোয়া জ্যোতিষবিধি পালন করলে ও ঈশ্বরের কাছে মঙ্গলপ্রার্থনা করলে তা পূর্ণ হয় বলে শোনা যায়। এমনই একটি সময় জন্মাষ্টমীর কালে পড়ে তা হল মহোরাত্রি। এই সময়ে সংসারে বিভিন্ন জটিলতা ও বাধা কাটাতে বহু বিধি পালিত হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত বিধিগুলি।
সম্পত্তির পরিমাণ বাড়াতে কী কী করণীয়?
জন্মাষ্টমীর
দিন
যদি
সকালে
স্নান
সেরে
শ্রীকৃষ্ণকে
হলুদ
ফুলের
মালা
দেওয়া
যায়,
তাহলে
তিনি
তুষ্ট
হন।
কথিত
রয়েছে
শ্রীকৃষ্ণকে
পিতাম্বরধারী
বলা
হয়।
পিতাম্বর
ধারী
শব্দের
অর্থ
হল,
যে
ব্যক্তি
পীত
বর্ণের
বস্ত্র
পরিহিত
হন।
শাস্ত্র
মতে
শ্রীকৃষ্ণ
পীত
বস্ত্র
অর্থাৎ
হলুদ
রঙের
পোশাক
পছন্দ
করেন।
আর
সেকারণেই
তিনি
হলুদ
রঙের
ফুলও
ভালোবাসেন।
যদি
হলুগ
ফুল
শ্রীকৃষ্ণ
বা
গোপালকে
জন্মাষ্টমীতে
অর্পণ
করা
হয়,
তাহলে
সংসারে
আর্থিক
এনটন
যেমন
কাটে,তেমনই
বাড়ে
সম্পত্তির
পরিমাণ।
এমনই
মত
রয়েছে
জ্যোতিষবিদের।
কোনও ইচ্ছা পূরণে কী করণীয়?
বহু দিন ধরে মনে কোনও ইচ্ছা রয়েছে, অথচ তা পূরণ হচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে জন্মাষ্টমীর দিন দক্ষিণাবর্ত শঙ্খের পুজো করে তার 'অভিষেক' করতে হবে পুজোবিধি অনুযায়ী। জন্মাষ্টমীর দিন থেকে শুরু করে প্রতি শনিবার এটি করলেই মেলে আকাঙ্খার ফল। মনের ইচ্ছা পূরণ হয় বলে জানাচ্ছেন বহু জ্যোতিষবিদ।
সমৃদ্ধি, সম্মান, প্রতিপত্তি লাভ করতে
প্রবল আর্থিক সমৃদ্ধি পেতে কে না চান! তার সঙ্গে সামাজিক সম্মান ও প্রতিপত্তিও অনেকের আকাঙ্খার বিষয় থাকে। বহু পরিশ্রম ও সৎ ভাবে চেষ্টা করেও অনেকে তা পান না। এমনটা হলে, জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে সাবুদানা ও দপধ দিয়ে সাবুর পায়েস প্রসাদ হিসাবে দিন। পায়েসে মিষ্টি হিসাবে চিনির জায়গায় দিন মিছরি। এরসঙ্গে পায়েসে দিন তুলসী পাতা। এটি গুজরাতের দ্বারকাধিশের প্রসাদ। কথিত রয়েছে এতে আর্থিক প্রতিপত্তি ও সম্নান বাড়ে ভক্তের।
সব কাজে সিদ্ধি পেতে
প্রতিটি কাজে যদি সাফল্য পেতে চান, তাহলে জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশে একটি নারকেল ভেঙে দিন। মন্দিরে এটি করতে পারলে , তা সুফল দেবে। এদিকে, তা যদি পর পর ২৭ দিনে মন্দিরে গিয়ে এই কাজটি করা যায়, তাহলে তা আরও সুফল দিয়ে থাকে। এতে সর্বকাজে বাধা কেটে আসে শান্তি ও সাফল্য।
চাকরি পেতে
কারোর যদি চাকরি পেতে বাধা আসে, তাহলে , জন্মাষ্টমী তিথিতে সাতজন মেয়েকে বা বালিকাকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে তাদের সাদা রঙের মিষ্টি খেতে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বহু জ্যোতিষবিদ। খাওয়ার পর তাদের কিথু উপহারও দিতে হবে। পর পর পাঁচদিন জন্মাষ্টমীর পর থেকে এটি করলে , মেলে আকাঙ্খিত ফল। এমনই মত বিভিন্ন জ্যোতিষবিদদের। এতে কেরিয়ারে উন্নতি যেমন হয়, তেমনই বেকারত্ব ঘোচাতেও এটি সাহায্য করে।
ঘরে শান্তি ফেরাতে
গৃহস্থে যদি প্রবল পরিমাণে অশান্তি ছড়িয়ে যায়, তাহলে তা দূর করারও রয়েছে উপায়য়। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে পানের পাতা অর্পণ করে দিলে , এই সংকট কেটে যেতে পারে। ঘরে ক্রমাগত অর্থ ও সম্পত্তির প্রবাহ ধরে রাখতে এই পন্থা অবলম্বনের কথা বলছেন বহু জ্যোতিষবিদ।