জামাইষষ্ঠী ২০২১: পার্বণের তারিখ ,তিথি থেকে প্রচলিত কাহিনি একনজরে
জামাইষষ্ঠী ২০২১: পার্বণের তারিখ ,তিথি থেকে প্রচলিত কাহিনি একনজরে
সামনেই ষষ্ঠী। সন্তানের মঙ্গল কামনায় হিন্দু রীতি অনুযায়ী বাঙালি ঘরে ষষ্ঠী পালনের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে' এই ভরসা সঙ্গে রেখেই বাঙালির ঘরে মায়েরা পালন করেন ষষ্ঠীব্রত। তবে জামাইষষ্ঠীতে মূলত জামাই বাবাজীবনকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহে রেখে আলাদা করে তাঁর শ্বাশুড়ি ঠাকুরণ বিশেষ আয়োজন করেন। তবে বহু ঘরেই বর্তমানে 'বৌ ষষ্ঠী'র রীতিও দেখা যায়। এরই মাঝে দেখে নেওয়া যাক, ২০২১ সালে জামাইষষ্ঠী কবে পড়েছে? এর নেপথ্যই বা কোন কাহিনি প্রচলিত জানুন।
জামাইষষ্ঠী ২০২১
২০২১ সালের জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১৬ জুন। পয়লা আষাঢ়ের দিন ধুমধাম সহকারে বাঙালি ঘরে এই রীতি পালিত হতে চলেছে। আর এই রীতির হাত ধরে বাঙালি ঘরে জামাইয়ের পাতে পড়তে চলেছে ইলিশ মাছ থেকে শুরু করে একাধিক রাজকীয় খাবার। তবে এই রাজকীয় আয়োজনের নেপথ্যে রয়েছে এক প্রচলিত কাহিনি।
কোন ঘটনা থেকে জামাইষষ্ঠীর সূচনা?
জানা যায়, বহু বছর ধরে জামাইষষ্ঠী নিয়ে এক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। তা হল, এক গৃহবধূ শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মাছ চুরি করে খান। তার দোষ তিনি দিয়ে দেন বাড়ির বেড়ালের ওপর। বেড়ালকে যেহেতু ষষ্ঠীদেবীর প্রতিভূ মনে করা হয়, তাই এই চুরির বোঝা বেড়ালের ওপর পড়তেই তার পাপ গিয়ে পড়ে ঘরের বধূর উপর। হারিয়ে যায় সেই বধবর সন্তান। তখন তিনি গিয়ে ষষ্ঠী দেবীর আরাধনা করেন।
ষষ্ঠীদেবীর আরাধনা
এদিকে, ষষ্ঠীদেবীর আরাধনার মধ্যেই বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করেন বধূ। চুরির দায়ে লজ্জায় আর গৃহমুখে যেতে পারছেন না তিনি। তখন সেই বধূর বাবা-মা একদিন ষষ্ঠী পুজো আয়োজন করেন। সেদিন আমন্ত্রণ করেন জামাইও মেয়েকে। শোনা যায়, এই পুজোয় ষষ্ঠীদেবী খুশি হন। আর ওই বধূ ও তাঁর স্বামী সুখের জীবন কাটান এরপর।
জামাইষষ্ঠীর পুজোর বিধি?
রীতি অনুযায়ী এমন দিনে নক্সাখচিত আসনে জামাইকে বসতে দিয়ে পাখার বাতাস করতে হয় শ্বাশুড়িকে। এরপর ষষ্ঠীদেবীর আশীর্বাদ পূর্ণ, দূর্বা-বাঁশের কড়ুল, ধান, ফুল, করমচা, দিয়ে বাঁধা মুঠো মাথায় ছুঁইয়ে 'ষাট ষাট বালাই ষাট' বলার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। মূলত এই দিন পাতে পড়ে, কাতলা মাছ, বিশেষ আম সহ ষোলো রকমের পদ।