মিলছে এইসব সংকেত ? সাবধান! আসতে চলেছে বড় বিপদ
জীবনের অপর নাম গতিশীলতা। নদীর মতই জীবনও কখনও থেমে থাকে না। কিন্তু জীবনের সব সময় সমান যায়না কারোরই। কখনও উপর কখনও নীচে, চলতেই থাকে টানাপড়েন। আর যেমন ঝড়ের আগে গোটা পরিবেশ শান্ত হয়ে যায়, ঠিক তেমনই জীবনেও বড় কোনও ঘটনা ঘটার আগে নানা রকম সংকেত দেন বিধাতা। এখন বিষয় হল সেই সব সংকেত ঠিক মত বুঝতে পেরে সাবধানতা অবলম্বন করা। আর তা নাহলেই জীবনে আসতে পারে বড় বিপদ।

বিপদ আসছে বোঝাযায় কীভাবে?
বড় সঙ্কট আসার আগেই ঘরে বার বার বেশকিছু খারাপ ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনা ঘরে ঘটলে অবহেলা করা একদমই উচিৎ নয়। তবে হঠাত ঘটা এইসব ঘটনা ঘটে কেন? জ্যোতিষীরা বুলেন এগুলি অনেক কারনে ঘটতে পারে। যেমন, পূর্বপুরুষের অসন্তুষ্টি হলে, রাশিফলের দোষ থাকলে, বাস্তু দোষ থাকলে বা জেনে, না জেনে কোনও অশুভ কর্ম করলে জীবনে আসতে পারে বিপদ। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বোঝা যায় বিপদের সংকেত।

পোষা প্রাণীর ঘন ঘন অসুস্থতা
বাড়িতে অনেকেই বিভিন্ন প্রাণী পোষেন। এই প্রাণীও অনেক সময় নানা সংকেত দিয়ে থাকে। সব রকম ভাবে তার যত্ন নেওয়ার পরেও যদি আচমকা পোষা প্রাণী লাগাতার অসুস্থ্য হতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে বাড়িতে কোনও অশুভ ছায়া পড়েছে।

আচমকা সম্মান কমে যাওয়া
হঠাৎ করেই যদি বাড়ির কর্তা ও অন্যান্য সদস্যদের সম্মান বাইরের সমাজে কোনও কারনে কমে যায় তাহলে তা অশুভ সংকেত বহন করে।

অর্থনাশ ও ঋণবৃদ্ধি
আচমকা যদি অর্থনাশ হয় এবং ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপে তাহলেও বুঝতে হবে জীবনে আসতে চলেছে বড় কোনও বিপদ।

আচমকা ঘুম ভেঙে যাওয়া
দিনের শেষে বাড়ির বিছানায় পরম নিশ্চিন্তে ঘুমই হল সব কষ্ট লাঘবের সেরা উপায়। কিন্তু ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখার যেমন আলাদা আলাদা মানে আছে তেমনই যদি প্রায়ই হঠাত করে ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে জীবনে আসতে চলেছে বড় কোনও বিপদ।
তবে সব সমস্যার সমাধানও আছে। তেমনই এইসব অশুভ সংকেত পেলে চটজলদি কিছু উপায় করে নিলে কাটানো যায় বিপদ

ঘর বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা
বাড়িতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই সাবধান হওয়া উচিৎ। ঘর পরিষ্কার করা এবং ভাঙা জিনিস ফেলে দেওয়া উচিৎ। ঘরের বা ছাদে যদি আবর্জনা জমে থাকে তা পরিষ্কার করে ফেলা এবং ছেঁড়া কাপড় পরা উচিৎ নয়।

ইশ্বরের নাম নেওয়া
সব বিপদ থেকে ইশ্বর আমাদের মুক্ত করতে পারেন তাই কোনও অশুভ সংকেত পেলেই প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা অত্যন্ত শুভ। এছাড়া সকাল ও সন্ধে পুজোর সময় ঘরে কর্পূর জ্বালিয়ে রাখাও শুভ।

মা লক্ষ্মীর আহ্বান
আর্থিক বিপদ থেকে মুক্তি পেতে প্রধান উপায় হল সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা। সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে পুজো করলে সব আর্থিক বিপদ নাশ হয়।
এখানে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর নির্ভরশীল।