কীভাবে শনি শ্রী কৃষ্ণকে খুশি করেছিলেন, বর্তমানে কারা সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার কবলে রয়েছেন
কীভাব শনি শ্রী কৃষ্ণকে খুশি করেছিলেন, বর্তমানে কারা সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার কবলে রয়েছেন
জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিকে আমরা ন্যায়ের দেবতা বলেই জানি। সকল রাশির ব্যক্তিকে কর্মফল অনুযায়ী এই গ্রহ ফল দান করে থাকেন। সেটি কারোর জন্য শুভ হতে পারে আবার কারোর জন্য অশুভ হতে পারে। যে ব্যক্তি শুভ কাজ করেন তাকে শনি দেবতা শুভ ফল দেন আর যে ব্যক্তি অশুভ কাজ করেন অশুভ ফল দিয়ে থাকেন। শনি দেবতাকে কলিযুগের বিচারক বলে মনে করা হয়।
শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়াকে সকলে ভয় পান
শনির দুটি পর্যায়ে মানুষ খুব ভয় পেয়ে থাকেন। সেটি হলো শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়াকে। এগুলি যে রাশির জীবনে আসে সেগুলি মানুষের জীবনের নানান অসুবিধার মধ্যে ফেলে। তাদের আর্থিকের দিকে নানার অসুবিধা দেখা দেয়। তারা জীবনে বেশি দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেন না। সকল কাজে বাধাপ্রাপ্ত হন তাঁরা। তাই এই সময়টাকে সকল রাশির ব্যক্তিরা একটু ভয় পেয়ে থাকেন।
কাদের এখন শনির ধাইয়া ও সাড়ে সাতি চলছে
যদিও বর্তমানে শনির পাঁচ রাশি বর্তমানে সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার মধ্যে দিয়ে চলছে। যেমন- মিথুন, তুলা, ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশিতে শনির ধাইয়া চলছে। এছাড়াও কুম্ভ রাশিতে চলছে সাড়েসাতি। শনি কোন মানুষকে কিন্তু সেভাবে বিরক্ত করেন না কিন্তু, যদিও কোনোও ব্যক্তি খারাপ কাজ করেন তাহলে এই গ্রহ তাদের ওপর বিরক্ত থাকেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যদি কেউ পুজো করে থাকেন, তাদের ওপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা থাকে। তাদের শুভ ফল দান করে থাকেন। তবে শনির বিশেষ কিছু নিয়ম আছে যেগুলো মেনে চললে সারা জীবন সব মানুষ ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারেন।
কীভাবে শনিদেব শ্রীকৃষ্ণকে খুশি করেছিলেন
শনি দেব একজন কৃষ্ণ ভক্ত। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শনিদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খুশি করবার জন্য মথুরায় কোকিলাবনে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার কঠোর তপস্য্যায় খুশি হয় কোকিল রূপে শনি দেবের কাছে এসেছিলেন। যে মন্দিরে এসেছিলেন সেই মন্দিরটি এখনোও আছে। একবার শনির পিতা সূর্য তাঁর মা ছায়াকে অপমান করেছিলেন। সেই সময় থেকে কঠোর তপস্যা করতেন শনি। ভগবান শিব তাতে প্রসন্ন হয়। শনিদেবকে গ্রহের বিচারক বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সকল দেবতার থেকে শনি সবথেকে বেশি শক্তিশালী।
হনুমানজির ভক্তদের ওপর শনি কুদৃষ্টি দেন না
শনিদেব হনুমান ভক্তদেরকে বিরক্ত করেন নাম, শনিদেব তার ক্ষমতার উপর কখনোই অহংকারী হয়ে ওঠেন। হনুমান একবার শনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তার ভক্তদের কখনোই বিরক্ত করবেন না, তাই যারা হনুমানজির পুজো করেন শনিদেব তাদের ওপর কুদৃষ্টি দেন না। তাই শনি থেকে মুক্তি পেতে কৃষ্ণ ও হনুমানজির পুজো করুন।
(এই সকল তথ্য জ্যোতিষ নির্ভর। সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে)
চলতি বছরে নববিবাহিত মহিলারা করওয়া চৌথের উপবাস করতে পারবেন না কিন্তু কেন