মা দুর্গার কৃপা পেতে নবরাত্রির কোন দিনে কী রঙের পোশাক পরবেন, দেখে নিন
মা দুর্গার কৃপা পেতে নবরাত্রির কোন দিনে কী রঙের পোশাক পরবেন, দেখে নিন
শারদীয়া নবরাত্রিতে মা দুর্গার পুজোর উৎসব আয়োজিত হয়। এই নদিন লোকেরা দেবীর আরতি, পুজো করে থাকেন এবং মায়ের বিশেষ আশীর্বাদ পেয়ে থাকেন ।হিন্দুরা খুব খুশি মজায় এই নটি দিন কাটিয়ে দেন। এই বছর শারদীয়া উৎসব ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অর্থাৎ আজ থেকে। যা চলবে অক্টোবর পর্যন্ত, ৫ অক্টোবর দশমীর দিন পর্যন্ত। আর এই দিনেই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়। নবরাত্রির এই নটি দিন দেবীকে নানানরূপে পুজো করা হয়।দেবী দুর্গা, মাতা শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রীর নয়টি রূপের পুজো হয় এইসময়ে।
নবরাত্রির প্রতিটি দিন মায়ের একটি এক একটি রূপকে উৎসর্গ করে পুজো করা হয়। এর সঙ্গে নটিদিনে আলাদা রঙের পোশাক পরার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্রে। এতে করে আপনার জন্মকুণ্ডলীতে থাকা গ্রহগুলি খুব শক্তিশালী হবে এবং মা দুর্গার বিশেষ আশীর্বাদ পাবেন। মায়ের কৃপায় আপনার মন খুশি হবে। তাহলে আপনি দেখে নিন কোন কোন দিন কোন কোন রঙের পোশাক পড়বেন।
প্রথমা
নবরাত্রি প্রথম দিনটিকেই প্রথমা বলা হয়। এই দিনটি মাতা শৈলপুত্রীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে আপনারা হলুদ রঙের পোশাক পরুন। এতে আপনাদের জীবনে আনন্দ থাকবে। আপনি উদ্যমের সঙ্গে সকল কাজ করতে পারবেন।
দ্বিতীয়া
নবরাত্রির দ্বিতীয়দিনকে দ্বিতীয়া বলা হয়। এই দিন মা ব্রহ্মচারিনীকে উৎসর্গ করা হয়, আর তাঁকে খুশি করতে আপনি সবুজ রঙের পোশাক করুন। এতে আপনি জীবনে খুশি হবেন, সেই সঙ্গে সাফল্য আসবে।
তৃতীয়া
নবরাত্রির তৃতীয় দিনটিকে তৃতীয়া বলা হয়। আর এই বিশেষদিনে মা চন্দ্রঘন্টাকে উৎসর্গ করা হয়। তাকে খুশি করবার জন্য আপনি বাদামি বা ধূসর রঙের পোশাক পরুন। এতে আপনার খারাপ অভ্যাস দূর হয়ে যাবে এবং বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি বেরিয়ে গিয়ে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করবে এবং জীবনে আসবে সাফল্য।
চতুর্থী
নবরাত্রিতে চতুর্থ দিন মাতা কুষ্মাণ্ডার পুজো করা হয়। তাকে খুশি করতে আপনি এই বিশেষ দিনে কমলা রঙের পোশাক পরুন। এতে আপনার জীবনের সুখ থাকবে। ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকবে আপনার বাড়িতে। সকল কাজে আপনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
পঞ্চমী
নবরাত্রির পঞ্চম দিন মাতা স্কন্দমাতাকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে সাদা রঙের পোশাক পরুন। এটি জীবনের সুখ, শান্তি, একাগ্রতা বজায় রাখে ও ইতিবাচক শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
ষষ্ঠী
নবরাত্রি দিন মাতা কাত্যায়ণীকে উৎসর্গ করা হয়। তাকে যুদ্ধের দেবী বলে মনে করা হয়। মায়ের মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন এই দিনে। তাই এই বিশেষ দিনে আপনি লাল রঙের পোশাক পরুন। শক্তির রং বলে মনে করা হয় লাল রঙকে।
সপ্তমী
নবরাত্রি সপ্তমদিনে মা কালরাত্রির পুজো করা হয়। মায়ের এই রূপ অসুরবিনাশকারী। এই দিনে নীল রঙের পোশাক পরুন। সব ভয় দূর হয়ে যাবে। আপনি জীবনে অনেক সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
অষ্টমী
নবরাত্রির অষ্টম দিন মাতাগৌরীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিন গোলাপি রঙের পোশাক পরুন। এটি করলে জীবনের সমস্ত বাধা ঝামেলা দূর হবে। জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে।
নবমী
নবম দিনটি মাতার সিদ্ধিদাত্রীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিন আপনি বেগুনি রঙের পোশাক পরে মায়ের পুজো করুন। এতে আপনার জীবনে সকল মনের আশা পূরণ হবে। সেই সঙ্গে জীবনে সাফল্য আসবে। দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনেও সুখ আসবে।
(এই সকল তথ্য জ্যোতিষ নির্ভর। সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে)
ঘরের এই দিশায় থাকা মন্দির ব্যক্তির ভাগ্য চমকাতে সহায়তা করে, মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকে সর্বদা