বিজয়া একাদশীতে বিধি মেনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে জীবনে সব কাজে সফলতা মিলবে
বিজয়া একাদশীতে বিধি মেনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে জীবনে সব কাজে সফলতা মিলবে
ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীকে বিজয়া একাদশী বলা হয়। এ বছর বিজয়া একাদশী ২৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার পালন করা হবে। বিজয়া একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর বিধিমতে উপাসনা করা হয়। এর সঙ্গে ব্রত রাখা হয়। শাস্ত্র মতে বিজয়া একাদশী দিন সব কাজে বিজয় পাওয়া যাবে। এই বিজয় একাদশীর দিন কোন কোন উপায় করা উচিত আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বিজয়া একাদশীর উপায়
শাস্ত্র অনুসারে বিজয়া একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুকে পঞ্চামৃত নিবেদন করতে হবে। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে ভগবান বিষ্ণুর পুজো পঞ্চামৃত ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না।
হলুদ রঙের কাপড় পরিধান করুন
বিজয়া একাদশীর ব্রতের দিন স্নানের পর হলুদ রঙের কাপড় পরিধান করা শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণু হলুদ রং পছন্দ করেন। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে পুজোর সময় ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ ফুল অর্পণ করতে হবে।
পুজোয় তুলসী পাতার ব্যবহার
বিজয়া একাদশীর দিন পুজোয় তুলসী পাতা ব্যবহার করতে হবে। কারণ ভগবান বিষ্ণু তুলসীকে পুজোয় উপস্থিতির বর দিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে এই দিনে ভগবানের আরাধনায় তুলসী ব্যবহার করতে হবে।
ভগবান বিষ্ণুর পুজোর বিধি
বিজয়া একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজোর পর ব্রতকথা পরতে হবে। এই দিনে ব্রতকথা পাঠ করলে পুজোর পুরো ফল পাওয়া যায়। পুজোর পর ভগবান বিষ্ণুর আরতি অবশ্যই করুন। পুজোর সম্পূর্ণতা আরতির মধ্যেই রয়েছে। তাই পুজোয় যদি কোনও ত্রুটি থেকে থাকে তবে তা আরতির মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে।
বিষ্ণু চল্লিসার পাঠ
বিজয়া একাদশীর দিন বিশেষ উপকারের জন্য ভগবান বিষ্ণুর মন্ত্র জপ করা উচিত। এর পাশাপাশি, আপনি সত্য ভক্তি সহ বিষ্ণু চল্লিসা পাঠ করতে পারেন।
শুভক্ষণ
চলতি বছর ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ দু'দিন বিজয়া একাদশী পালিত হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে একাদশী তিথি শুরু হবে। শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ১২ মিনিটে। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ১১ মিনিট থেকে ১২টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত পুজোর শুভক্ষণ থাকবে।
একাদশীর মাহাত্ম্য
পদ্ম পুরাণ অনুযায়ী, স্বয়ং মহাদেব নারদকে উপদেশ দেন যে, একাদশী মহান পুণ্যদায়ী ব্রত। যে মনুষ্য একাদশী ব্রত পালন করেন, তাঁদের পিতৃ ও পূর্বপুরুষ কুযোনি ত্যাগ করে স্বর্গ লোকে প্রস্থান করেন।