এই দেবতাদের পুজো করলে শনিদেব থাকেন তুষ্ট, সাড়ে সাতি ও ধাইয়াতেও শুভ ফল দান করেন
শনিদেব ন্যায়ের দেবতা। তাই শনিদেবকে দণ্ডাধিকারীও বলা হয়ে থাকে। পৌরাণিক ও ধার্মিক গ্রন্থে শনিদেবকে কর্মফলদাতা রূপে বলা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে মানুষের ভালো-মন্দ কাজের হিসাব-নিকেশ শনিদেব দেখেন। এই কারণে শনিকে কলিযুগের ন্যায়াধিকারী বলা হয়ে থাকে।
শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়া
শনির দু'টি অবস্থা নিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকে। শনির সাড়ে সাতি ও শনির ধাইয়া। এই দু'টি শনির সবচেয়ে কষ্টকারী অবস্থাগুলির মধ্যে বিচার করা হয়। বর্তমান সময়ে সাড়ে সাতি ও ধাইয়া চলছে বেশ কিছু রাশিদের ওপর।
এই রাশিরা থাকুন সাবধানে
জ্যোতিষ গণনা অনুসারে বর্তমান সময় মিথুন রাশি ও তুলা রাশির ওপর শনির ধাইয়া চলছে। অন্যদিকে, ধনু রাশি, মকর রাশি ও কুম্ভ রাশির ওপর সাড়ে সাতি চলছে।
শনিদেব কাদের ওপর সর্বদা প্রসন্ন থাকেন
শনিদেব কি সবাইকে কষ্ট দেন নাকি কিছি কিছুজন শনির ক্রুর দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকেন। কথিত আছে যে যাঁরা ভগবান শিব, হনুমানজি ও ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পুজো করেন, শনিদেব তাঁদের কষ্ট দেন না, বরং শুভ ফল প্রদান করেন।
শনিদেব কৃষ্ণ ভক্ত
আপনি জানেন কি শনিদেব একজন কৃষ্ণ ভক্ত। পৌরাণিক কথা অনুসারে, শনিদেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করার জন্য মথুরার কোসিকলায় কোকিলাবনে তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে শনিদেবকে কোয়েলের রূপ ধারণ করে দর্শন দেন। মথুরায় এই মন্দিরের আজও গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও শনিদেব তপস্যা করে ভগবান শিবকে বরদান দেওয়ার জন্য বিবশ করে দিয়েছিলেন।
শিবভক্ত শনিদেব
পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, শনিদেবের বাবা সূর্যদেব একবার তাঁর মা ছায়া ও শনিদেবের অপমান করে দিয়েছিলেন। যার রাগবশত শনিদেব কঠোর তপস্যা করেন। যার পরে প্রসন্ন হয়ে শিব শনিদেবকে সব গ্রহের মধ্যে ন্যায়াধিকার বানিয়ে দেন এবং বরদান দেন যে তাঁর ছায়া থেকে দেবতারাও বাঁচতে পারবেন না।
হনুমান ভক্ত শনিদেব
শনিদেব হনুমান ভক্তদেরও বিরক্ত করেন না, যখন শনিদেব তাঁর ক্ষমতার উপর অহংকারী হয়ে ওঠেন, তখন হনুমানজি তা ভেঙে দেন। এরপর শনিদেব হনুমানজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর ভক্তদের বিরক্ত করবেন না।
(এই সকল তথ্য সম্পূর্ণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভরশীল)
কবে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ? এই রাশিদের ওপর ভারী প্রভাব পড়তে চলেছে, থাকুন সাবধানে